বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও শিল্প কারখানাগুলো খোলা রাখতে চান মালিকরা। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিজিএমইএ সভাপতির নেতৃত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানানো হয়। এ বিষয়ে শনিবার (১৭ জুলাই) সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সাংবাদিকদের বলেন, সরকার নতুন করে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর জন্য বলেছি। বিধিনিষেধের মধ্যে যে সময়টুকু কারখানা বন্ধ থাকবে, তার মধ্যে রফতানিমুখী শিল্পগুলো কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সে বিষয়গুলো জানিয়েছি। সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিবেচনা করতে বলেছি।
তিনি বলেন, আমাদের আবেদন শিল্প কারখানা যেন খোলা থাকে। কারণ আমরা জানি শিল্প কারখানা যদি খোলা না রাখা যায়, এটা মারাত্মকভাবে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হয়। করোনার প্রথম ধাক্কায় শিল্প কারখানাগুলোর অনেক অর্ডার বাতিল হয়েছিল। আবার সেগুলো ফিরে এসেছে। এগুলো বাস্তবায়ন করছি। উইন্টার ও ফল সিজনের শিপমেন্টগুলো ১৫ আগস্টের মধ্যে শিপমেন্ট করতে হয়।
ফারুক হাসান বলেন, সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডির অল্প সময়ের জন্য সিজন থাকে। সে কারণে এই শিপমেন্টগুলো যদি দিতে না পারি, যেসব অর্ডার এনেছি, ফ্যাক্টরিগুলো দেউলিয়া অবস্থার মধ্যে চলে যাবে। ক্লোজিং ভীষণ সমস্যায় পড়ে যাবে। এজন্য জীবন-জীবিকার সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছি। শনিবার সভা আছে, সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গত বছর করোনার সময় চার বিলিয়ন ডলারের বাতিল হওয়া অর্ডারগুলো ধীরে ধীরে ফিরে পেয়েছি। কিন্তু এই বিধিনিষেধ ঘোষণা শোনার পর থেকে বায়াররা অর্ডার স্লো করে দিয়েছে, বন্ধ করে দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে অনুরোধ করেছি। শিপমেন্ট করতে না পারলে অর্ডার ক্যানসেল হয়ে যাবে। শিপমেন্ট যাতে করতে পারি, সেই সহযোগিতা চাচ্ছি। উনারা বিবেচনা করবেন বলে আশা করছি।
বিজনেস আওয়ার/১৫ জুলাই, ২০২১/এ