ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরিজ ভাগাভাগি করল আয়ারল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
  • 36

স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। আর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। তবে শেষ ম্যাচে সহজ জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে প্রোটিয়ারা। যেখানে বড় অবদান দুই ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডি ককের।

ডাবলিনের মালাহিডের দ্য ভিলেজে জানেমান ও ডি ককের সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৩৪৬ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে সিমি সিংয়ের সেঞ্চুরির পর ১৭ বল আগেই ২৭৬ রানে অলআউট হয়েছে আইরিশরা। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৭০ রানের ব্যবধানে।

আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ২২৫ রান যোগ করেন ডি কক ও জানেমান। ইনিংসের ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার আগে ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরিতে মাত্র ৯১ বলে ১২০ রান করেন ডি কক। যেখানে ছিল ১১ চার ও ৫টি ছয়ের মার।

ডি কক সাজঘরে ফিরলেও একদম শেষপর্যন্ত খেলে গেছেন জানেমান। দলকে ৩৪৬ রানে পৌঁছে দিয়ে অপরাজিত থেকেই ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ১৬৯ বলে ১৬ চার ও ৬ চারের মারে ১৭৭ রান করেছেন এ ডানহাতি ওপেনার। এছাড়া ৩০ রান করেছেন রসি ফন ডার ডুসেন।

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই পেছাতে থাকে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড। মাত্র ৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়েন কার্টিস ক্যাম্পার ও সিমি সিং। দুজন মিলে সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ১০৪ রান। যা কি না সপ্তম উইকেটে তাদের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড।

দলীয় সংগ্রহ ২০০ পেরুনোর ঠিক আগে ৫৪ বলে ৫৪ রান করে আউট হন ক্যাম্পার। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা সিমি সিং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৯১ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলে। অন্য প্রান্তে কেবল সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলই দেখেছেন তিনি।

ফলে আইরিশদের ইনিংস শেষ হয় ৪৮তম ওভারেই, লক্ষ্য থেকে ৭১ রান দূরে ২৭৬ রান করে। ৭০ রানের এই জয় দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটা ১-১ ড্র করতে সক্ষম হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১৭ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সিরিজ ভাগাভাগি করল আয়ারল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা

পোস্ট হয়েছে : ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। আর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। তবে শেষ ম্যাচে সহজ জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে প্রোটিয়ারা। যেখানে বড় অবদান দুই ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডি ককের।

ডাবলিনের মালাহিডের দ্য ভিলেজে জানেমান ও ডি ককের সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৩৪৬ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে সিমি সিংয়ের সেঞ্চুরির পর ১৭ বল আগেই ২৭৬ রানে অলআউট হয়েছে আইরিশরা। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৭০ রানের ব্যবধানে।

আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ২২৫ রান যোগ করেন ডি কক ও জানেমান। ইনিংসের ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার আগে ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরিতে মাত্র ৯১ বলে ১২০ রান করেন ডি কক। যেখানে ছিল ১১ চার ও ৫টি ছয়ের মার।

ডি কক সাজঘরে ফিরলেও একদম শেষপর্যন্ত খেলে গেছেন জানেমান। দলকে ৩৪৬ রানে পৌঁছে দিয়ে অপরাজিত থেকেই ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ১৬৯ বলে ১৬ চার ও ৬ চারের মারে ১৭৭ রান করেছেন এ ডানহাতি ওপেনার। এছাড়া ৩০ রান করেছেন রসি ফন ডার ডুসেন।

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই পেছাতে থাকে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড। মাত্র ৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়েন কার্টিস ক্যাম্পার ও সিমি সিং। দুজন মিলে সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ১০৪ রান। যা কি না সপ্তম উইকেটে তাদের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড।

দলীয় সংগ্রহ ২০০ পেরুনোর ঠিক আগে ৫৪ বলে ৫৪ রান করে আউট হন ক্যাম্পার। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা সিমি সিং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৯১ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলে। অন্য প্রান্তে কেবল সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলই দেখেছেন তিনি।

ফলে আইরিশদের ইনিংস শেষ হয় ৪৮তম ওভারেই, লক্ষ্য থেকে ৭১ রান দূরে ২৭৬ রান করে। ৭০ রানের এই জয় দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটা ১-১ ড্র করতে সক্ষম হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১৭ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: