স্পোর্টস ডেস্ক : তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। রবিবার (১৮ জুলাই) হেডিংলিতে আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ড করেছে ২০০ রান। জবাবে পাকিস্তান ১৫৫ রানে অলআউট হয়ে গেছে।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। একটি করে ছক্কা-চার মেরে প্রথম ওভারেই ইমাদ ওয়াসিমের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন জেসন রয়। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ১ রানে ফিরেন ডেভিড মালান। পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ হাসানকে চার মারেন মঈন, সেই ওভারেই ছক্কার পর টানা দুটি চার মারেন বাটলার।
গতি পায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। হারিস রউফের পরের ওভারে মঈন মারেন চারটি চার। টানা দুই ওভারে রান আসে ১৯ করে। লেগ স্পিনার শাদাব খানকে চার-ছক্কা মারার পর হাসনাইনের স্লোয়ারে মিড অফে ধরা পড়েন মঈন। ১৬ বলে এক ছক্কা ও ছয় চারে ৩৬ রান করেন এই অলরাউন্ডার। ভাঙে ৬৭ রানের জুটি।
তবে চালিয়ে যেতে থাকেন বাটলার। রউফের ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় নেন ১৫ রান। ১০ ওভারে ৩ উইকেটে তুলে ফেলে ১০৫ রান। ৩৩ বলে ফিফটি করার পর ওয়াসিমকে দুই ছক্কায় ওড়ান বাটলার। হাসনাইনের পরের ওভারে ক্যাচ দিয়ে ৫৯ রানে থামেন বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে দুইশ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের কেউ যেতে পারেননি ১৫ পর্যন্ত। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিভিংস্টোন তিন ছক্কা ও দুই চারে ২৩ বলে করেন ৩৮ রান।
৫০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে বড় রান তাড়ায় দলকে ভালো শুরু এনে দেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর আর তেমন কোনো জুটি পায়নি পাকিস্তান। ছক্কা মেরে ডালা মেলার আভাস দিয়ে সাকিব মাহমুদের পরের বলে ক্যাচ দেন বাবর। ভাঙে শুরুর জুটি।
পেসারদের বিপক্ষে সাবলীল হলেও স্পিনে ভুগছিলেন রিজওয়ান। দারুণ এক ফিরতি ক্যাচ নিয়ে তার ভোগান্তির ইতি টানেন লেগ স্পিনার রশিদ। এর আগেই তার বলে স্টাম্পড হন সোহেব মাকসুদ। মঈনকে ছক্কার চেষ্টায় সীমানায় ক্যাচ দেন মোহাম্মদ হাফিজ। বোল্ড হয়ে যান ফখর জামান।
লেগ স্পিনার পার্কিনসনকে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় স্টাম্পড হন আজম খান। ১৪ ওভারে ১০৫ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে এরকম ছিটকে যায় পাকিস্তান। সেখান থেকে দলকে দেড়শ রানে নিয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমান শাদাব। ১৫৫ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
বিজনেস আওয়ার/১৯ জুলাই, ২০২১/এ