ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে চালের বাজারে দামের হেরফের

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
  • 64

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গত দু’দিন ধরে বিভিন্ন খুচরা বাজারে নানা অজুহাতে কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখা হচ্ছে মোটা চালের দাম। তবে খুচরায় চিকন চালের বাজার আছে আগের মতোই। তবে উল্টো চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর সবচেয়ে বড় চালের বাজার বাবু বাজার ও বাদামতলিতে।

এ দুই বাজারে চালের দাম বাড়েনি মোটেও। বরং গত দু’দিন ধরে সব ধরনের চালের দাম কমেছে। এদিকে চালের বাজারে দামের পার্থক্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। রোববার (২৮ জুন) কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, খিলগাঁও, রামপুরা, বাবুবাজার ও বাদামতলি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গুটিচাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় যা দু’দিন আগে এসব বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৩৯ থেকে ৪০ টাকায়, কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা, স্বর্ণা ৪২ থেকে ৪৩ টাকা। দাম বেড়ে আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায়। আতপ চাল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা।

তবে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে চিকন চাল। এসব বাজারে খুচরায় প্রতিকেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা কেজিদরে।

কারওয়ান বাজারের এক খুচরা চাল ব্যবসায়ী বলেন, এখন মোটা চাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না তাই দাম বেশি। এসব বাজারে প্রতিবস্তা আটাশ চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ টাকায়, পাইজাম ২২৫০, মোটা গুটি চাল ২০০০ টাকা বস্তা, নাজির ২৫ কেজি বস্তা ১৪২০ থেকে ১৫০০ টাকা, বাঁশফুল ২৭০০ টাকা বস্তা।

এ বাজারের পাইকার ব্যবসায়ী নোমান বলেন, কয়েকদিন ধরেই মোটা চালের বাজার বাড়তি রয়েছে। এখন ত্রাণ বিতরণের কারণে মোটা চালের চাহিদা বেড়েছে সে তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে চিকন সব চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে রাজধানীর বাবুবাজার ও কদমতলি বাজারে চালের দাম বাড়েনি এর পরিবর্তে গত দু’দিন ধরে দাম কমেছে সব চালের।

এ বিষয়ে বাবুবাজার ও কদমতলি বাজার চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, এখন কেনো চালের দাম বাড়বে? এখন দাম বাড়ার পরিবেশ হয়নি বরং দাম কমেছে। গত দু’দিন ধরে প্রতিকেজি সব ধরনের চালে এক টাজা পর্যন্ত দাম কমেছে। যারা দাম বাড়াচ্ছে তারা কেনো দাম বাড়াচ্ছেন জানি না।

বিজনেস আওয়ার/২৯ জুন, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রাজধানীতে চালের বাজারে দামের হেরফের

পোস্ট হয়েছে : ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গত দু’দিন ধরে বিভিন্ন খুচরা বাজারে নানা অজুহাতে কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখা হচ্ছে মোটা চালের দাম। তবে খুচরায় চিকন চালের বাজার আছে আগের মতোই। তবে উল্টো চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর সবচেয়ে বড় চালের বাজার বাবু বাজার ও বাদামতলিতে।

এ দুই বাজারে চালের দাম বাড়েনি মোটেও। বরং গত দু’দিন ধরে সব ধরনের চালের দাম কমেছে। এদিকে চালের বাজারে দামের পার্থক্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। রোববার (২৮ জুন) কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, খিলগাঁও, রামপুরা, বাবুবাজার ও বাদামতলি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গুটিচাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় যা দু’দিন আগে এসব বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৩৯ থেকে ৪০ টাকায়, কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা, স্বর্ণা ৪২ থেকে ৪৩ টাকা। দাম বেড়ে আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায়। আতপ চাল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা।

তবে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে চিকন চাল। এসব বাজারে খুচরায় প্রতিকেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা কেজিদরে।

কারওয়ান বাজারের এক খুচরা চাল ব্যবসায়ী বলেন, এখন মোটা চাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না তাই দাম বেশি। এসব বাজারে প্রতিবস্তা আটাশ চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ টাকায়, পাইজাম ২২৫০, মোটা গুটি চাল ২০০০ টাকা বস্তা, নাজির ২৫ কেজি বস্তা ১৪২০ থেকে ১৫০০ টাকা, বাঁশফুল ২৭০০ টাকা বস্তা।

এ বাজারের পাইকার ব্যবসায়ী নোমান বলেন, কয়েকদিন ধরেই মোটা চালের বাজার বাড়তি রয়েছে। এখন ত্রাণ বিতরণের কারণে মোটা চালের চাহিদা বেড়েছে সে তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে চিকন সব চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে রাজধানীর বাবুবাজার ও কদমতলি বাজারে চালের দাম বাড়েনি এর পরিবর্তে গত দু’দিন ধরে দাম কমেছে সব চালের।

এ বিষয়ে বাবুবাজার ও কদমতলি বাজার চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, এখন কেনো চালের দাম বাড়বে? এখন দাম বাড়ার পরিবেশ হয়নি বরং দাম কমেছে। গত দু’দিন ধরে প্রতিকেজি সব ধরনের চালে এক টাজা পর্যন্ত দাম কমেছে। যারা দাম বাড়াচ্ছে তারা কেনো দাম বাড়াচ্ছেন জানি না।

বিজনেস আওয়ার/২৯ জুন, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: