ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিনহা হত্যার এক বছর আজ

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
  • 34

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (কক্সবাজার): মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার এক বছর আজ। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে মারা যান তিনি।

হত্যাকাণ্ডের পর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। (মামলা নম্বর : এসটি-৪৯৩/২০২১); (জিআর মামলা নম্বর : ৭০৩/২০২০) ও টেকনাফ মডেল থানা মামলা নম্বর : ৯/২০২০।

একই মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ আরও আটজনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্ত করার আদেশ দেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‍্যাব)। মামলা দায়েরের পরদিন প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

সিনহা হত্যায় সংশ্লিষ্টতা পেয়ে পুলিশের দায়ের করা আরেক মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে গ্রেফতার করা হয় মামলার আরেক আসামি টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও।

মামলায় গ্রেফতার ১৪ আসামিকে তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তদন্ত শেষে একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে ২০২১ সালের ২৪ জুন আত্মসমর্পণ করেন এ মামলার একমাত্র পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেব।

চলতি বছরের ২৭ জুন এ মামলায় অভিযুক্ত ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনপূর্বক সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার অগ্রগতি নিয়ে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল এ মামলার চার্জ গঠন করেন। এ সময় বিচারক ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই এ মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারণে তা আর হয়নি।

আদালতে বাদীপক্ষের ১০ জন সাক্ষীর বক্তব্য উপস্থাপনের কথা ছিল জানিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ এখনও দেওয়া হয়নি। এ আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ হবে বলে আমরা আশাবাদী।

মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৫ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কনস্টবল রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিজনেস আওয়ার/৩১ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সিনহা হত্যার এক বছর আজ

পোস্ট হয়েছে : ১০:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (কক্সবাজার): মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার এক বছর আজ। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে মারা যান তিনি।

হত্যাকাণ্ডের পর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। (মামলা নম্বর : এসটি-৪৯৩/২০২১); (জিআর মামলা নম্বর : ৭০৩/২০২০) ও টেকনাফ মডেল থানা মামলা নম্বর : ৯/২০২০।

একই মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ আরও আটজনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্ত করার আদেশ দেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‍্যাব)। মামলা দায়েরের পরদিন প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

সিনহা হত্যায় সংশ্লিষ্টতা পেয়ে পুলিশের দায়ের করা আরেক মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে গ্রেফতার করা হয় মামলার আরেক আসামি টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও।

মামলায় গ্রেফতার ১৪ আসামিকে তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তদন্ত শেষে একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে ২০২১ সালের ২৪ জুন আত্মসমর্পণ করেন এ মামলার একমাত্র পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেব।

চলতি বছরের ২৭ জুন এ মামলায় অভিযুক্ত ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনপূর্বক সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার অগ্রগতি নিয়ে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল এ মামলার চার্জ গঠন করেন। এ সময় বিচারক ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই এ মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারণে তা আর হয়নি।

আদালতে বাদীপক্ষের ১০ জন সাক্ষীর বক্তব্য উপস্থাপনের কথা ছিল জানিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ এখনও দেওয়া হয়নি। এ আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ হবে বলে আমরা আশাবাদী।

মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৫ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কনস্টবল রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিজনেস আওয়ার/৩১ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: