বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। পরিবার ও চিকিৎসকদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন তার রাজনৈতিক সতীর্থরা।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বুকে তীব্র ব্যথার সাথে তার হৃদস্পন্দন অনেক দ্রুত ও অনিয়মিত হচ্ছে। সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে বিএসএমএমইউ’র একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চিকিৎসক জানান, দীর্ঘদিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেনবসম্রাট। কিছুদিন হলো বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বিএসএমএমইউ’র প্রিজন সেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু হৃদস্পন্দন দ্রুত ও অনিয়মিত হওয়ায় কিছুদিন হলো তাকে পুনরায় সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে সম্রাটের পরিবারের দাবি, আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে ওপেন হার্ট সার্জারি ও ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয় সম্রাটের। দীর্ঘদিন বন্দী থাকায় উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ছিলেন সম্রাট। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় রাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। একই বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব।
ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই দিন দুপুর ২টার দিকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে বাহিনীটির একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে।
কার্যালয়ে অবৈধভাবে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা আছে। তাছাড়া মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিজনেস আওয়ার/৩১ জুলাই, ২০২১/এ