ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও অস্থিতিশীল চালের বাজার!

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
  • 60

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে চালের বাজার। মোটা চালের দামও বেড়ে এখন ৫০ টাকা কেজিতে দাঁড়িয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম ৪ শতাংশ এবং সরু ও মাঝারি চালের দাম প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার সুত্রে জানা গেছে, ইরি বা স্বর্ণা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। এছাড়া মাঝারি মানের চাল পাইজাম ও লতা ৫০ থেকে ৫৬ টাকা, সরু চাল নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকার একজন চাল বিক্রেতা বলেন, বর্তমানে বাজারে চালের দাম একটু বেশি। মিল মালিকরা প্রতি সিজনে চাল কিনে মজুদ করে রাখেন। এ কারণেই এখন চালের দাম বেশি। পাইকারি বাজারে চালের দাম বেশি, তাই খুচরাও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তবে বিক্রেতাদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে কুষ্টিয়ার চালের মিল মালিক আব্দুর রশিদ বলেন, মিল মালিকরা নয়, ধান-চালের ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানই অধিক মুনাফার আশায় অবৈধ মজুদ করেছেন। মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

এদিকে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বেসরকারিভাবে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কে প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টন সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে অবস্থা অনুযায়ী পরিমাণ আরও বাড়তে বা কমতে পারে।

এ প্রসঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, মাঝারি ও সরু চালেরও দাম বাড়ছে। অবৈধভাবে কেউ চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে কি না আমরা তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। আমরা চাচ্ছি, বেসরকারিভাবে কিছু আমদানি হোক। সেটার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করা হবে। আমরা চাই কৃষক এবং ভোক্তা কেউই যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তাই যতটুকু দরকার ততটুকুরই আমদানি করা হবে। আপাতত ১০ লাখ টন চাল আমদানির চিন্তা করছি। প্রয়োজন হলে আরও বেশি করতে পারি।

এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারিভাবে চাল আমদানি হচ্ছে এবং বেসরকারিভাবে চাল আমদানির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ভোক্তাদের প্রতি মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের মানবিক হতে হবে। অতি মুনাফাখোর ও অবৈধ মজুদদারদের সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, সরকার ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে, এটি আরও জোরদার করা হবে। পাশাপাশি অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে দ্রুতই অভিযান শুরু হবে।

বিজনেস আওয়ার/৩১ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আবারও অস্থিতিশীল চালের বাজার!

পোস্ট হয়েছে : ০১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে চালের বাজার। মোটা চালের দামও বেড়ে এখন ৫০ টাকা কেজিতে দাঁড়িয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম ৪ শতাংশ এবং সরু ও মাঝারি চালের দাম প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার সুত্রে জানা গেছে, ইরি বা স্বর্ণা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। এছাড়া মাঝারি মানের চাল পাইজাম ও লতা ৫০ থেকে ৫৬ টাকা, সরু চাল নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকার একজন চাল বিক্রেতা বলেন, বর্তমানে বাজারে চালের দাম একটু বেশি। মিল মালিকরা প্রতি সিজনে চাল কিনে মজুদ করে রাখেন। এ কারণেই এখন চালের দাম বেশি। পাইকারি বাজারে চালের দাম বেশি, তাই খুচরাও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তবে বিক্রেতাদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে কুষ্টিয়ার চালের মিল মালিক আব্দুর রশিদ বলেন, মিল মালিকরা নয়, ধান-চালের ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানই অধিক মুনাফার আশায় অবৈধ মজুদ করেছেন। মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

এদিকে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বেসরকারিভাবে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কে প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টন সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে অবস্থা অনুযায়ী পরিমাণ আরও বাড়তে বা কমতে পারে।

এ প্রসঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, মাঝারি ও সরু চালেরও দাম বাড়ছে। অবৈধভাবে কেউ চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে কি না আমরা তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। আমরা চাচ্ছি, বেসরকারিভাবে কিছু আমদানি হোক। সেটার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করা হবে। আমরা চাই কৃষক এবং ভোক্তা কেউই যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তাই যতটুকু দরকার ততটুকুরই আমদানি করা হবে। আপাতত ১০ লাখ টন চাল আমদানির চিন্তা করছি। প্রয়োজন হলে আরও বেশি করতে পারি।

এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারিভাবে চাল আমদানি হচ্ছে এবং বেসরকারিভাবে চাল আমদানির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ভোক্তাদের প্রতি মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের মানবিক হতে হবে। অতি মুনাফাখোর ও অবৈধ মজুদদারদের সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, সরকার ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে, এটি আরও জোরদার করা হবে। পাশাপাশি অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে দ্রুতই অভিযান শুরু হবে।

বিজনেস আওয়ার/৩১ জুলাই, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: