স্পোর্টস ডেস্ক : দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজের জাদুতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস এক লড়াই শেষে ৭ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আর এই জয়ের মধ্যদিয়ে উইন্ডিজ সফরের শুরুটাও বেশ ভালোভাবেই করল বাবর আজমের দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ানের কল্যাণে দারুণ এক সূচনা পায় পাকিস্তান। রিজওয়ানকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন শারজিল খান। পঞ্চম ওভারে ফেরেন তিনি। ৪৬ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর বাবরকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের দিশা দেখাচ্ছিলেন রিজওয়ান।
উইকেটে ছিল স্পিনারদের প্রতি সহায়তা। সেটা কাজে লাগিয়ে উইকেট শিকার না হলেও দুজনকে চড়েও বসতে দেননি উইন্ডিজ স্পিনাররা। ৪৭ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলে রিজওয়ান-বাবরের এই জুটি। তবে এর কিছু পরেই ফেরেন রিজওয়ান। তার রান আউটে কাটা পড়ে ৬৭ রানের এই জুটি।
পরের ওভারেই বাবর পঞ্চাশে পৌঁছান ৩৮ বলে। এরপর ম্যাচে বৃষ্টির বাগড়া। কিছু পরে বৃষ্টি শেষে মাঠে ফিরে খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ফলে দুই উইকেটে ১৩৪ রান থেকে ইনিংস শেষ করে মাত্র ১৫৭ রান নিয়ে। হারায় আরও ছয়টি উইকেট।
জবাবে উইন্ডিজকে শুরু থেকেই চেপে ধরেছিলেন হাফিজ। দ্বিতীয় বলেই আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফেরান। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে বল করেছেন তিনটি ওভার। তাতে রান দিয়েছেন মাত্র ৫টি! এর ফলে পাওয়ারপ্লেতে এভিন লুইস আর ক্রিস গেইল উইকেটে থাকার পরেও উইন্ডিজ ডট দেয় ২২টি!
অন্য দিকে শাহিনশাহ আফ্রিদি কিছুটা খরুচেই ছিলেন। তবে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আক্রমণে এসে সেটা পুষিয়ে দেন হাসান আলি, ফেরান গেইলকে। এরপর শিমরন হেটমায়ার উইকেটে থিতু হয়ে আশা দেখাচ্ছিলেন উইন্ডিজকে, কিন্তু তিনিও ফেরেন বড় ইনিংস না খেলেই।
এ অবস্থায় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লুইসকে নিতে হতো দলকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব, কিন্তু তিনিও পেশিতে টান নিয়ে উঠে যান সাজঘরে। এরপর ম্যাচ যত এগিয়েছে, শুরুর চাপটা কেবল বেড়েই চলছিল উইন্ডিজের ওপর। এক পর্যায়ে উইন্ডিজের দরকার ছিল ৫ ওভারে ৭৪।
তখনই যেন টনক নড়ে উইন্ডিজের। পুরান রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে দেন পাকিস্তানি বোলারদের ওপর। তবে অপর দিক থেকে সাহায্য আসছিল না তেমন, কাইরন পোলার্ড করেছেন ১৪ রান। ফলে শেষ পাঁচ ওভারে ৬৬ রান তুলেও বিজিত দলেই থাকতে হয় পুরানকে, উইন্ডিজকেও।
বিজনেস আওয়ার/০১ আগস্ট, ২০২১/এ