বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সরকার পোশাক শ্রমিকদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে গত ১৮ জুলাই। সরকারের লক্ষ্য ৪০-৫০ লাখ শ্রমিককে টিকা দেওয়া। এ পর্যন্ত ৪০ হাজার শ্রমিককে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। তবে কুরবানি ঈদ ও দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে পোশাক শ্রমিকদের করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
তৈরি পোশাক মালিকরা বলছেন, পোশাক কারখানাগুলো খোলা হয়েছে। শ্রমিকরা কাজ শুরু করেছেন। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, দু-একদিনের মধ্যে টিকা দেওয়া শুরু হবে।
এ বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজীম বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে হলে সচেতনতার বিকল্প নেই। করোনা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় কার্যকর পথ হচ্ছে টিকা দেওয়া। সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা ঈদের আগে চারটি কারখানায় মোট ২৯ হাজার শ্রমিককে টিকা দিয়েছিলাম
শহিদুল্লাহ আজীম বলেন, ঈদ ও বিধিনিষেধের কারণে শ্রমিকরা কারখানার বাইরে ছিল, তাই আমরা আর টিকা দিতে পারিনি। রোববার থেকে আমাদের কারখানাগুলো চালু হয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, আমাদের টিকা দেওয়ার জন্য বলেছেন। দু-একদিনের মধ্যে আবারও কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের টিকা দেওয়া শুরু হবে।
বিকেএমইএ’র পরিচালক ফজলে এহসান শামীম বলেন, সরকার টিকাদান কার্যক্রমে এবার শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমরা সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি। কারণ করোনা থেকে বেঁচে থাকার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যবস্থা হচ্ছে টিকা।
বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকারের সহযোগিতায় সব পোশাককর্মীকে টিকার আওতায় আনতে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে আলাদাভাবে টিম গঠন করেছি। টিমে রয়েছে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে টিমের পাশাপাশি সূর্যের হাসিসহ স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরাও পোশাককর্মীদের টিকাদানে সহায়তা করবেন।
বিজনেস আওয়ার/০২ আগস্ট, ২০২১/এ