ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুলাইয়ে রেমিট্যান্স কমেছে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১
  • 51

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গেলো মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ১৫ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস জুনের চেয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার কম। সোমবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা মহামারিতে অনেক প্রবাসী কাজ হারায়, আবার অনেকে কাজ হারানোর শঙ্কায় পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের সঞ্চিত অর্থ যাই ছিল তা দেশে পাঠিয়েছে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ায় বৈধ চ্যানেলে দেশে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছিল।

তিনি বলেন, এখন করোনার তৃতীয় ধাক্কা চলছে। অনেক দেশ লকডাউন দিয়েছে। ফলে প্রবাসী শ্রমিকদের আয় কম। এছাড়া জমানো অর্থ যা ছিল তাও ফুরিয়ে গেছে। তাই রেমিট্যান্স পাঠানো কিছুটা কমেছে। তবে আরও কয়েক মাস পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাবে সামনের অবস্থা। কারণ এক মাসে রেমিট্যান্স কিছুটা কমলেও যদি প্রবাসীদের কাজ ঠিক থাকে তাহলে আগামীতে বাড়বে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে ৪৩ কোটি ১৮ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ২২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪০ কোটি ১২ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

বরাবরের মতো বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে। ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে ৫৫ কোটি মার্কিন ডলার। এছাড়া ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২২ কোটি ৯১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯ কোটি ৪৮ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার এবং জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৯২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। অর্থবছর হিসাবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। এছাড়া ঈদ ও উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/০২ আগস্ট, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জুলাইয়ে রেমিট্যান্স কমেছে

পোস্ট হয়েছে : ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গেলো মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ১৫ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস জুনের চেয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার কম। সোমবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা মহামারিতে অনেক প্রবাসী কাজ হারায়, আবার অনেকে কাজ হারানোর শঙ্কায় পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের সঞ্চিত অর্থ যাই ছিল তা দেশে পাঠিয়েছে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ায় বৈধ চ্যানেলে দেশে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছিল।

তিনি বলেন, এখন করোনার তৃতীয় ধাক্কা চলছে। অনেক দেশ লকডাউন দিয়েছে। ফলে প্রবাসী শ্রমিকদের আয় কম। এছাড়া জমানো অর্থ যা ছিল তাও ফুরিয়ে গেছে। তাই রেমিট্যান্স পাঠানো কিছুটা কমেছে। তবে আরও কয়েক মাস পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাবে সামনের অবস্থা। কারণ এক মাসে রেমিট্যান্স কিছুটা কমলেও যদি প্রবাসীদের কাজ ঠিক থাকে তাহলে আগামীতে বাড়বে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে ৪৩ কোটি ১৮ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ২২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪০ কোটি ১২ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

বরাবরের মতো বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে। ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে ৫৫ কোটি মার্কিন ডলার। এছাড়া ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২২ কোটি ৯১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯ কোটি ৪৮ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার এবং জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৯২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। অর্থবছর হিসাবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। এছাড়া ঈদ ও উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/০২ আগস্ট, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: