ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে করোনা টিকার ডোজ না দিয়ে শুধুই সুঁই পুশ!

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১
  • 45

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলে ২০ ব্যক্তির শরীরে করোনা টিকার ডোজ না দিয়ে কেবল সুঁই প্রবেশ করানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটেছে। এ ঘটনায় এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, এ সময় টিকা প্রদানকারী স্বাস্থ্যকর্মী সিরিঞ্জে টিকার ডোজ (তরল টিকা) ঠিকই নিয়েছেন কিন্তু তাদের শরীরে তা পুশ করেননি। পুশ করা হয়েছে বলে তিনি টিকার ডোজসহ সিরিঞ্জ ফেলে দেন। গতকাল রোববার দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

যে টিকা প্রদানকারীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে তার নাম সাজেদা আফরিন, তিনি ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক। এ ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সহকা‌রী সি‌ভিল সার্জন‌কে প্রধান ক‌রে তিন সদস্যবি‌শিষ্ট তদন্ত ক‌মি‌টি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ নম্বর বুথে নিবন্ধনকারীদের করোনার টিকা প্রদান করছিলেন সাজেদা আফরিন। তিনি টিকাগ্রহণকারীদের অনেকের শরীরে সুঁই প্রবেশ করিয়ে একটু পর আবার বের করে ফেলছিলেন, সিরিঞ্জে থাকা টিকার ডোজ পুশ না করে টিকার ডোজসহ সিরিঞ্জ ফেলে দিচ্ছিলেন।

এ সময় ঘটনা‌টি এক যুবকের নজরে আসে। তিনি এ ব্যাপারে উপস্থিত সবার সঙ্গে কথা বললে সেখানে হৈচৈ শুরু হয়।

প‌রে হাসপাতা‌লের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শামিমকে জানানো হলে তিনি পরিত্যক্ত সিরিঞ্জগুলো বাছাই করে ২০টি সিরিঞ্জের ভেতর সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনের উপস্থিতি দেখতে পান। তিনি নিশ্চিত হন এই ২০টির ক্ষেত্রে সুঁই প্রবেশ করা হলেও ভ্যাকসিন শরীরে প্রবেশ করানো হয়নি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন বলেন, হাসপাতা‌লে অ‌নেক মানুষজন টিকা নি‌তে আসায় সেখা‌নে অ‌নেক চাপ ছিল। অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাটি ঘটে গেছে!

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মো. শামিম বলেন, ঘটনাটি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন।

টাঙ্গাইল জেলা সি‌ভিল সার্জন আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জানান, অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গে‌ছে। অভিযুক্ত স্বাস্থ্যসহকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নি‌তে সং‌শ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হ‌য়ে‌ছে। সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজনেস আওয়ার/০২ আগস্ট, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

টাঙ্গাইলে করোনা টিকার ডোজ না দিয়ে শুধুই সুঁই পুশ!

পোস্ট হয়েছে : ০৯:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলে ২০ ব্যক্তির শরীরে করোনা টিকার ডোজ না দিয়ে কেবল সুঁই প্রবেশ করানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটেছে। এ ঘটনায় এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, এ সময় টিকা প্রদানকারী স্বাস্থ্যকর্মী সিরিঞ্জে টিকার ডোজ (তরল টিকা) ঠিকই নিয়েছেন কিন্তু তাদের শরীরে তা পুশ করেননি। পুশ করা হয়েছে বলে তিনি টিকার ডোজসহ সিরিঞ্জ ফেলে দেন। গতকাল রোববার দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

যে টিকা প্রদানকারীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে তার নাম সাজেদা আফরিন, তিনি ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক। এ ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সহকা‌রী সি‌ভিল সার্জন‌কে প্রধান ক‌রে তিন সদস্যবি‌শিষ্ট তদন্ত ক‌মি‌টি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ নম্বর বুথে নিবন্ধনকারীদের করোনার টিকা প্রদান করছিলেন সাজেদা আফরিন। তিনি টিকাগ্রহণকারীদের অনেকের শরীরে সুঁই প্রবেশ করিয়ে একটু পর আবার বের করে ফেলছিলেন, সিরিঞ্জে থাকা টিকার ডোজ পুশ না করে টিকার ডোজসহ সিরিঞ্জ ফেলে দিচ্ছিলেন।

এ সময় ঘটনা‌টি এক যুবকের নজরে আসে। তিনি এ ব্যাপারে উপস্থিত সবার সঙ্গে কথা বললে সেখানে হৈচৈ শুরু হয়।

প‌রে হাসপাতা‌লের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শামিমকে জানানো হলে তিনি পরিত্যক্ত সিরিঞ্জগুলো বাছাই করে ২০টি সিরিঞ্জের ভেতর সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনের উপস্থিতি দেখতে পান। তিনি নিশ্চিত হন এই ২০টির ক্ষেত্রে সুঁই প্রবেশ করা হলেও ভ্যাকসিন শরীরে প্রবেশ করানো হয়নি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন বলেন, হাসপাতা‌লে অ‌নেক মানুষজন টিকা নি‌তে আসায় সেখা‌নে অ‌নেক চাপ ছিল। অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাটি ঘটে গেছে!

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মো. শামিম বলেন, ঘটনাটি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন।

টাঙ্গাইল জেলা সি‌ভিল সার্জন আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জানান, অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গে‌ছে। অভিযুক্ত স্বাস্থ্যসহকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নি‌তে সং‌শ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হ‌য়ে‌ছে। সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজনেস আওয়ার/০২ আগস্ট, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: