বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: করোনাকালে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোকে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার পাশাপাশি লোকসান কমিয়ে আনাসহ কতিপয় নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নির্বাহীদের কাছে লেখা চিঠিতে একই জায়গায় রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের একাধিক শাখার খোলার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় কোনো রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের শাখা থাকলে অন্যকোনো সরকারি ব্যাংকের কোনো শাখা সেখানো খোলার অনুমতি দেওয়া হবে না। করোনাকালে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের নতুন কোনো শাখাও খোলা যাবে না। শাখা খোলার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোকে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত না হওয়ারও নির্দেশ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করা শর্তে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ বিভাগে প্রায়ই বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ব্যাংক থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা খোলার অনুমতি নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আমাদের অনুশাসন দিয়েছেন, একই অঞ্চলে সরকারি ব্যাংকের একাধিক শাখার অনুমতি দেওয়া যাবে না। এমনকি এই করোনাকালে নতুন করে শাখা খোলারও প্রয়োজন নেই বলে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সোনালী ব্যাংকের মোট শাখার সংখ্যা হচ্ছে ১২২৬টি। ব্যাংকটির বিদেশে শাখার সংখ্যা ২টি। এসব শাখার মধ্যে পল্লী অঞ্চলে ৭৫৬টি ও শহরাঞ্চলে ৪৬৭টি শাখা রয়েছে। এছাড়া ১৬টি আঞ্চলিক শাখা, ৪৬টি প্রিন্সিপাল শাখা ও ১১টি জিএম কার্যালয় রয়েছে। জনতা ব্যাংকের মোট শাখার সংখ্যা ৯১৭টি। এর মধ্যে শহরে ৪৩০ ও গ্রামে ৪৮৩ টি, বিদেশে ৪টি শাখার রয়েছে। একইভাবে অগ্রণী ব্যাংকের শাখা ৯৬০টি, রূপালী ব্যাংকের ৫৮৩টি, বেসিক ব্যাংকের ৬০টি এবং বিডিবিএল এর শাখা সংখ্যা রয়েছে ৩২টি।
ছয় রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের লোকসানী শাখা এখন ২২৬টি। এক বছরের লোকসানী শাখার পরিমাণ কমলেও এখনো এ ধরনের শাখার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজনেস আওয়ার/০৩ আগস্ট, ২০২১/কমা