বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার। সেই বিধিনিষেধ চলমান অবস্থায় আজ মঙ্গলবার তা আরও বাড়ানো হলো।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ১১ আগস্টের পর ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ মুভমেন্ট করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। ১৪ হাজার কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আইন না করলেও অধ্যাদেশ জারি করে হলেও শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেবো, কারণ বৃদ্ধ লোকদের মৃতুঝুঁকি বেশি বলে মনে হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমিক, বাসের হেলপারসহ সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ কর্মস্থলে আসতে পারবেন না। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন দিলেই ওয়েবসাইটে চলে যাবে। সেগুলো চেক করা হবে। সেখান থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছে কিনা যাচাই করতে পারব। ৭, ৮, ৯ তারিখ সুযোগ রাখলাম। যাতে তারা ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা কেন্দ্র খুলতে পারে। সময় বাড়াচ্ছি তা, ১০ তারিখ পর্যন্ত সুযোগ দিচ্ছি। ১১ তারিখ থেকে যাতে খুলতে পারে।
তিনি বলেন, অর্থনীতি সচল রাখাও দায়িত্ব। সেজন্য কিছু শিল্প-কারখানা খোলা হয়েছে। যানবাহন সব চলবে না। রোটেশন অনুযায়ী চলবে। ১০০ গাড়ি থাকলে শ্রমিক নেতারা ঠিক করবে, অল্পসংখ্যক চলবে। সীমিত আকারে গাড়ি চলবে। রেল ১০টার জায়গায় হয়তো ৫টা চলবে। খুলবে অফিসও।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দেয় সরকার। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হবে। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা।
তবে ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলছে। বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।
কিন্তু এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি। বরং দিনকে দিন অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতির। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ সোমবার একদিনে ২৪৬ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৮৯ জন। এরমধ্যে বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বিজনেস আওয়ার/০৩ আগস্ট, ২০২১/এ