বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানীর শ্যামবাজার ফরাসগঞ্জ সংলগ্ন বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে, ১৯ জন পুরুষ, ৮ নারী ও ৩টি শিশু রয়েছে। মর্নিং বার্ড নামে লঞ্চটিতে অর্ধশত যাত্রী ছিল। সোমবার (২৯ জুন) সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। সকাল ৯টায় ময়ূর-২ নামের লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, সকালে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি। সদরঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চে থাকা কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে উঠতে পারলেও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সোমবার (২৯ জুন) সকাল নয়টার দিকে ময়ুর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে ময়ূর-২ নদীতে নামানোর সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
লঞ্চটি উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা কাজ করছেন। এছাড়াও নৌপুলিশ ও নৌবাহিনী কাজ করছে। উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করতে নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দেয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘লঞ্চের ভেতরে অনেক লাশ রয়েছ। আমরা শেষ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালাবো। নদীর নিচে ডুবে যাওয়া লঞ্চটির অবস্থা স্থিাতশীল রয়েছে। আমাদের সঙ্গে নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটি ও থানা পুলিশ কাজ করছে।
বিজনেস আওয়ার/২৯ জুন, ২০২০/এ