বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দীর্ঘ ১৯ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের পরে আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে আবারও চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন। আসন সংখ্যা সমান হলেও অর্ধেক গণপরিবহন চলছে। তবে গণপরিবহন চলাচলের কারণে স্বস্তি ফিরেছে কর্মজীবী মানুষের মধ্যে।
বুধবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরা, এয়ারপোর্ট, আব্দুল্লাহপুর,কালশী, মিরপুর ১, ২ ও ১০ নম্বর, শ্যামলী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, গাবতলী ফার্মাগেট, বাংলামটর, শাহবাগ, পল্টন এলাকা ঘুরে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে।
আব্দুল্লাহপুর থেকে বাংলামটর যাতায়াত করেন শরিফুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘লকডাউনের কারণে গত কয়েক দিন অফিসে যেতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। আমার অফিস বাংলামটর। গণপরিবহন না থাকার কারণে অর্থ আর কষ্টে যেতে হয়েছে অফিসে।কিন্তু গণপরিবহন চলার কারণে অনেক টাকা সাশ্রয় হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা রোধ সরকার কিছু দিন পর পর যে লকডাউনের ঘোষণা দেয় এটা ঠিক আছে। কিন্তু শুধু লকডাউন দিলেই হবে না, এটা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। তবে আমরা সাধারণ মানুষ আসলে নিয়ম মানতে চাই না। লকডাউন দিলে সবই বন্ধ রাখা উচিত। তা না হলে অফিস খোলা রেখে লকডাউন দিলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’
রাজধানীর গাবতলী থেকে সায়দাবাদ যাবেন মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে গণপরিবহন চলতে শুরু করেছে। খুব স্বস্তি লাগছে। কারণ এখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়াটা সহজ হবে। ভাড়াও কম লাগবে।
মিরপুর থেকে প্রজাপতি পরিবহনের বাসচালক বলেন, ‘গণপরিবহন চালু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। লকডাউনের কারণে পরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক কষ্টে দিনযাপন করেছি আমরা। খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়েছে। আমরা চাই না, আবারও গণপরিবহন বন্ধ হোক।
সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ শিথিলের পর বুধবার (১১ আগস্ট) ভোর থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন চলতে শুরু করে। এর আগে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার বিধিনিষেধ শিথিল করলে সবশেষ ২২ জুলাই সড়কে গণপরিবহন চলেছিল।
বিজনেস আওয়ার/১১ আগস্ট, ২০২১/কমা