স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বল হাতে দাপট দেখানোর পর ঘুরেফিরে আলোচনায় বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। অজি বধে অবদান রেখে যেমন প্রশংসা বন্যায় ভাসেন নাসুম, তেমনি শোনা যায় মন খারাপ করা খবর। জাতীয় দলের হয়ে আলো ছড়ানো এই ক্রিকেটার নাকি সুনামগঞ্জ ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ।
সুনামগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট কমিটি ২০১৯ সালে জেলা কমিটিতে খেলতে না দিয়েই ফিরিয়ে দিয়েছিল নাসুমকে। ২০১৫ সালে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে কারণ দেখিয়ে তাকে ওই সময় খেলতে না দেওয়ায় ফিরে যান নাসুম। তার বহিষ্কারাদেশের সময় এবং খেলতে না দেওয়ার সময়ও তার ক্লাবের কর্মকর্তারা প্রতিবাদ করেছিলেন।
তবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জানান, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে নাসুমকে। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক খবর প্রকাশ হলে অবশেষে মুখ খুলেছেন নাসুম। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়েছে, যে জেলার হয়ে কখনো খেলেননি তিনি, সে জেলা থেকে তাকে নিষিদ্ধ করে কিভাবে?
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে নাসুম লিখেছেন, আমার জন্ম, বড় হওয়া, পড়ালেখা কিংবা ক্রিকেট খেলা সবকিছুই সিলেটে। এক সময় আমার দাদাবাড়ি সুনামগঞ্জে ছিল। কিন্তু আমার দাদা ১৯৫৮ সালে সিলেটে স্থায়ীভাবে চলে আসেন। ছোটবেলায় সুনামগঞ্জে একবার গিয়েছিলাম এবং রাস্তাঘাটও ঠিক ভাবে চিনি না ওখানকার। পরবর্তীতে ওখানকার একটি টুর্নামেন্টে একবার খ্যাপ খেলতে গিয়েছিলাম।
সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদে হয়তো অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছেন আমি আমার জেলা দলে নিষিদ্ধ। কিন্তু আমি যে জেলার হয়ে কখনো খেলিনি তারা আমাকে কিভাবে নিষিদ্ধ করে? ২০০৫ সালে ১১ বছর বয়সে আমি পেশাগতভাবে ক্রিকেট শুরু করি এবং ওই বছর জেলা ক্রিকেটে সুনামগঞ্জের কোন দলই ছিল না। তখন থেকে সবসময়ই সিলেটের হয়ে খেলেছি। সিলেট লিগে খেলেছি ২০০৬ সাল থেকে এবং সিলেট জেলা দলে খেলেছি ৩ বছর, আর বিভাগীয় দলে ২০১০ সাল থেকে।
বিজনেস আওয়ার/১৭ আগস্ট, ২০২১/এ