1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : user : user
  3. [email protected] : Admin : Admin
  4. [email protected] : Nayan Babu : Nayan Babu
করোনা মোকাবিলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির এ কী হাল!
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন

করোনা মোকাবিলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির এ কী হাল!

  • পোস্ট হয়েছে : মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০
print sharing button

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানীতে করোনা মোকাবিলার মূল দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব যতো বাড়ছে ঠিক ততোই কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামে অনীহা দেখানো যাচ্ছে। এমন চিত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের। সংস্থাটির ভান্ডারে করোনা প্রতিরোধে সংগ্রহকৃত মালামাল নেই।

ডিএনসিসির কর্মীরা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে তাদেরকে কিছু মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিলেও বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে ঝুঁকি নিয়েই তারা মাঠে কাজ করছেন। এরই মধ্যে অনেক কর্মী আক্রান্তও হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে ৬০ হাজার ৭০০টি মাস্ক, ১৭ হাজার জোড়া রাবার গ্লাভস, ২৯ হাজার ৫০০টি সার্জিক্যাল মাস্ক, তিব্বত সাবান ৪০ হাজার পিস, স্যাভলন সাবান (এসিআই) ১২ হাজার ৬৪০টি, অন্যান্য সাবান ৭২৮টি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার (এসিআই) ৭৫৬টি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার (যমুনা) ১৫ হাজার, স্যাভলন এক হাজার লিটার, ব্লিচিং পাউডার ৫০ হাজার কেজি, সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইড এক লাখ লিটার সংগ্রহ করা হয়েছে।

এছাড়া সড়ক পরিষ্কারের জন্য নারিকেল শলা ৫ হাজার কেজি, করোনাভাইরাস সচেতনতা লিফলেট তিন লাখ, গামবুট দুই হাজার ৮৫০টি, মপ ক্যাপ ১৫ হাজার, ওয়ার্ম গ্ল্যাফস ৫৪০টি, কে এ ৯৫ মাস্ক ১১০টি, কেএন ৯৫ (৩ এম) মাস্ক ৫০টি, ত্রিপোল ১৫টি, সেফটি ড্রেস ৪০৪টি, হ্যান্ড গ্লাভস (চায়না) ৪ হাজার ৪৪০ জোড়া, মেডিক্যাল গগলস ১৫০টি, সেফটি গগলস ৭৫০টি, কমফোর্ট হ্যান্ড গ্লাফস (সার্জিক্যাল) এক হাজার জোড়া, মেডিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস (সার্জিকাল) এক হাজার জোড়া ও সাবান (কেয়া) দুই হাজার ১৬ পিস সংগ্রহ করা হয়েছে।

বর্তমানে এসব পণ্যের মধ্যে শুধু হ্যান্ড স্যানিটাইজার (যমুনা) ৭০টি, ব্লিচিং পাউডার ৬ হাজার ৫০০ কেজি, নারিকেল শলা তিন হাজার কেজি, গাম বুট ৫০ জোড়া, ওয়ার্ম গ্লাভস ২০০টি ও মেডিক্যাল গগলস ১০টি মজুত রয়েছে। এর বাইরে আর কোনও সুরক্ষা সরঞ্জাম নেই ডিএসসিসির ভান্ডারে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের জীবাণু ধ্বংসে প্রতিদিন পানির সঙ্গে জীবাণুনাশক ব্লিচিং পাউডার ও সোডিয়াম হাইপো-ক্লোরাইট রাসায়নিক মিশিয়ে গাড়িতে করে নগরীর সড়ক, ফুটপাতসহ জনবহুল এলাকায় ছিটানো হতো। কিন্তু বর্তমানে সোডিয়াম হাইপো-ক্লোরাইট রাসায়নিকটি না থাকার কারণে কাজটিও বন্ধ রয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও নগরীর সড়ক ও বাসাবাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা করে যাচ্ছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। অপরদিকে মশক নিধন কর্মীরাও সকাল বিকাল অলিগলিতে ওষুধ ছেটাচ্ছেন। এসব কর্মীর জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে না। এরই মধ্যে ডিএসিসির অর্ধশতাধিক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসসিসি ভান্ডার বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায়ও আমরা কাজ করছি। মাঠে মশক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও কাজ করছেন। কিন্তু তাদেরকে সুরক্ষা সরঞ্জাম বলতে আমরা কিছুই দিতে পারছি না। ভান্ডারেও এখন কোনও কিছুই নেই বললেই চলে।

এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামান বলেন, প্রথম অবস্থায় কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। এখন হয়তো কমে আসতে পারে।

বিজনেস আওয়ার/৩০ জুন, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো সংবাদ