বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বরিশাল সদরের ইউএনও মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এ দুটি মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালত গ্রহণ করলে আইন অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত হতে পারেন মেয়র।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বরিশালে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা অবশ্যই তদন্ত হবে। মামলায় মেয়রকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তার নেতৃত্বেই এ কাজগুলো সেখানে করা হয়েছে। আসলে বাস্তবে সেখানে কী ঘটনা ঘটেছিল, তা পর্যালোচনা করে বোঝা যাবে। আমরা সব খোঁজখবর নিচ্ছি। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে ভালো কাজে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রতিনিধিদের প্রশংসিত করে। আর মন্দ কাজের জন্যও শাস্তির বিধান আছে। বিভিন্ন সময় অনেকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। কাউকে যদি দোষী পাওয়া যায়, তাহলে সবার জন্য আইন সমানভাবেই চলবে।
তিনি আরও বলেন, যদি কারো (জনপ্রতিনিধি) বিরুদ্ধে মামলা এবং চার্জশিট হয়, তাহলে আমাদের সাসপেন্ড (সাময়িক বরখাস্ত) করার বিধান আছে। আইনে যেভাবে শাস্তির বিধান উল্লেখ আছে, এগুলো পর্যালোচনা করে যদি কিছু পাওয়া যায়, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বরিশালে পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, ওই রাতে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে হামলা চালায় স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। এ সময় গুলির ঘটনায় আহত হন অনেকে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে একটি মামলা দায়ের করেন সদর থানার ইউএনও মুনিবুর রহমান। অন্যটি করেন কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরির্দশক (এসআই) শাহজালাল মল্লিক। দুই মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে।
বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দাবি, ব্যানার অপসারণ করতে গিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইউএনওর বাধার মুখে পড়েন। ইউএনও দম্ভোক্তি করে অশোভন আচরণ করেন এবং সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে সেখানে যান মেয়র। তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন ইউএনও।
বৃহস্পতিবার বরিশালে সেরনিয়াবাত ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু এ অভিযোগ করেন। এদিকে এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ না দিলেও বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
বিজনেস আওয়ার/২১ আগস্ট, ২০২১/এ