ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
  • 55

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুরু হয়েছে। সোমবার (২৩ আগস্ট) থেকে ২৫ আগস্ট বুধবার পর্যন্ত টানা তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণ চলবে। এ সময় মামলার ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেবেন।

মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসকে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

তিনি বলেন, এই মামলায় মোট সাক্ষী ৮৩ জন। আদালতে হাজির থাকতে ১৫ জন সাক্ষীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় মামলার ১৫ জন আসামিকেও আদালতে হাজির করা হবে।

ফরিদুল আলম বলেন, গত ২৬ জুলাই থেকে পরবর্তী তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ চলায় তা সম্ভব হয়নি। পরে ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়।

হত্যাকাণ্ডের পাঁচদিনের মাথায় ২০২০ সালের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আদালত থেকে র‌্যাব-১৫ কে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়। প্রথমে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন, র‌্যাব -১৫–এর সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আহমদ। পরে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তিত হয়ে র‌্যাবের সহকারী পরিচালক ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম তদন্তের দায়িত্বভার পান।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের ৯ সদস্য। তারা হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।

আলোচিত এই মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকা ১৫ আসামি হলেন— বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিজনেস আওয়ার/২৩ আগস্ট, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

পোস্ট হয়েছে : ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুরু হয়েছে। সোমবার (২৩ আগস্ট) থেকে ২৫ আগস্ট বুধবার পর্যন্ত টানা তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণ চলবে। এ সময় মামলার ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেবেন।

মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসকে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

তিনি বলেন, এই মামলায় মোট সাক্ষী ৮৩ জন। আদালতে হাজির থাকতে ১৫ জন সাক্ষীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় মামলার ১৫ জন আসামিকেও আদালতে হাজির করা হবে।

ফরিদুল আলম বলেন, গত ২৬ জুলাই থেকে পরবর্তী তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ চলায় তা সম্ভব হয়নি। পরে ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়।

হত্যাকাণ্ডের পাঁচদিনের মাথায় ২০২০ সালের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আদালত থেকে র‌্যাব-১৫ কে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়। প্রথমে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন, র‌্যাব -১৫–এর সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আহমদ। পরে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তিত হয়ে র‌্যাবের সহকারী পরিচালক ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম তদন্তের দায়িত্বভার পান।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের ৯ সদস্য। তারা হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।

আলোচিত এই মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকা ১৫ আসামি হলেন— বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিজনেস আওয়ার/২৩ আগস্ট, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: