বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানির সময় কাঠগড়ায় পুলিশের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ মোবাইল ফোনে কথা বলার ঘটনায় সেখানে দায়িত্বরত চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম চৌধুরী তাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, আদালত চলাকালে কাঠগড়ায় প্রদীপের মোবাইলে কথা বলার বিষয়টি সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর এসআই সাহাবুদ্দিনসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের নাম জানা যায়নি। এ ঘটনায় ওসি প্রদীপকে সতর্ক করেছেন আদালত।
গত সোমবার কক্সবাজার জেলার দায়রা জজ আদালতে মামলার প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে শুনানির সময় কাঠগড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলেন বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ। এ কথা বলার একটা ছবি এর মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় চলছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আদালত কক্ষের কাটগড়ার ভেতরে হাঁটু গেড়ে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন বরখাস্ত ওসি প্রদীপ। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় সোমবার। বুধবার পর্যন্ত টানা তিন দিন এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে। মামলায় মোট ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন।
মামলার বাদী নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের সাক্ষ্য দিয়ে প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাহিদুল ইসলাম সিফাত।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের গাড়ি তল্লাশি কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যা ব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।
বিজনেস আওয়ার/২৫ আগস্ট, ২০২১/কমা