ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি: এএসপিসহ আটক ৩

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
  • 50

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (দিনাজপুর) : দিনাজপুরে মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় সিআইডির রংপুর কার্যালয়ের এএসপিসহ তিন পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন-সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে সদর উপজেলার বাশেরহাট থেকে তাদের আটক করা হয়।

জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার পলাশ নামে এক ব্যক্তি সিআইডি রংপুর কার্যালয়ে চিরিরবন্দর উপজেলার জনৈক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার একটি অভিযোগ করেন। পরে ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম লুৎফর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায়।

এসময় বাড়িতে লুৎফর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে মাইকোবাসে করে তুলে নিয়ে যান। পরে মা ও ছেলের মুক্তির জন্য লুৎফর রহমানের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ভুক্তভোগী পরিবারকে সাড়ে আট লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলেন তারা।

একপর্যায়ে ভুক্তভোগী পরিবার বিষয়টি দিনাজপুর জেলা পুলিশকে অবগত করে। জেলা পুলিশের পরামর্শে মঙ্গলবার বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবার প্রথমে চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরে, পরে কাহারোল উপজেলার দশমাইলে অভিযুক্ত সিআইডি কর্মকর্তাদের আসতে বলে। পরে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন তাদের দিনাজপুর সদর উপজেলার বাশেরহাটে আসতে বলে।

সিআইডি কর্মকর্তারা বাশেরহাটে এলে জেলা পুলিশ ও সিআইডি তাদের আটক করে প্রথমে চিরিরবন্দর থানায় এবং রাতে তাদের দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেয়া হয়।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তবে বিস্তারিত বলা যাবে না। বিস্তারিত জানতে পুলিশ সুপারের সাঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানান তিনি। পরে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

সিআইডির ভারপ্রাপ্ত এসপি আতাউর রহমান বলেন, আটকদের মধ্যে একজন এএসপি, একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবল। তাদের মধ্যে এএসআই ও কনস্টেবল ছুটিতে ছিলেন। তারা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে যান। অনুমতি ছাড়া তারা ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে অপারেশনে যান। আটকের পর আমাকে জানানো হয়েছে। তারা যে আমাদের স্টাফ আমি তা জানিয়েছি।

বিজনেস আওয়ার/২৫ আগস্ট, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি: এএসপিসহ আটক ৩

পোস্ট হয়েছে : ০৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (দিনাজপুর) : দিনাজপুরে মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় সিআইডির রংপুর কার্যালয়ের এএসপিসহ তিন পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন-সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে সদর উপজেলার বাশেরহাট থেকে তাদের আটক করা হয়।

জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার পলাশ নামে এক ব্যক্তি সিআইডি রংপুর কার্যালয়ে চিরিরবন্দর উপজেলার জনৈক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার একটি অভিযোগ করেন। পরে ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম লুৎফর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায়।

এসময় বাড়িতে লুৎফর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে মাইকোবাসে করে তুলে নিয়ে যান। পরে মা ও ছেলের মুক্তির জন্য লুৎফর রহমানের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ভুক্তভোগী পরিবারকে সাড়ে আট লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলেন তারা।

একপর্যায়ে ভুক্তভোগী পরিবার বিষয়টি দিনাজপুর জেলা পুলিশকে অবগত করে। জেলা পুলিশের পরামর্শে মঙ্গলবার বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবার প্রথমে চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরে, পরে কাহারোল উপজেলার দশমাইলে অভিযুক্ত সিআইডি কর্মকর্তাদের আসতে বলে। পরে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন তাদের দিনাজপুর সদর উপজেলার বাশেরহাটে আসতে বলে।

সিআইডি কর্মকর্তারা বাশেরহাটে এলে জেলা পুলিশ ও সিআইডি তাদের আটক করে প্রথমে চিরিরবন্দর থানায় এবং রাতে তাদের দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেয়া হয়।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তবে বিস্তারিত বলা যাবে না। বিস্তারিত জানতে পুলিশ সুপারের সাঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানান তিনি। পরে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

সিআইডির ভারপ্রাপ্ত এসপি আতাউর রহমান বলেন, আটকদের মধ্যে একজন এএসপি, একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবল। তাদের মধ্যে এএসআই ও কনস্টেবল ছুটিতে ছিলেন। তারা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে যান। অনুমতি ছাড়া তারা ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে অপারেশনে যান। আটকের পর আমাকে জানানো হয়েছে। তারা যে আমাদের স্টাফ আমি তা জানিয়েছি।

বিজনেস আওয়ার/২৫ আগস্ট, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: