ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এজলাসে ওসি প্রদীপের ফোনালাপ, তদন্ত কমিটি গঠন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
  • 38

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ মোবাইল ফোনে কথা বলার ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

দায়িত্ব অবহেলার কারণে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের পর ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) পঙ্কজ বড়ুয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. শাহ নেওয়াজ ও সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এ কে এম রাকিবুর রেজা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ঘটনা জানার পর এটিএসআই সাহাব উদ্দিন, কস্টেবল আব্দুল কাদের ও আব্দুস সালামকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। কীভাবে ভাইকে হত্যা করা হয়, সেই বর্ণনা আদালতে উপস্থাপন করছিলেন তিনি। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তখন ১৫ আসামি। তাদের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফ থানা পুলিশের বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ দেখা যায় আসামি প্রদীপ কুমার কাঠগড়ায় বসেই মোবাইল ফোনে কথা বলছেন! এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি এই প্রদীপ কুমার দাস।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের গাড়ি তল্লাশি কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।

বিজনেস আওয়ার/২৫ আগস্ট, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

এজলাসে ওসি প্রদীপের ফোনালাপ, তদন্ত কমিটি গঠন

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ মোবাইল ফোনে কথা বলার ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

দায়িত্ব অবহেলার কারণে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের পর ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) পঙ্কজ বড়ুয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. শাহ নেওয়াজ ও সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এ কে এম রাকিবুর রেজা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ঘটনা জানার পর এটিএসআই সাহাব উদ্দিন, কস্টেবল আব্দুল কাদের ও আব্দুস সালামকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। কীভাবে ভাইকে হত্যা করা হয়, সেই বর্ণনা আদালতে উপস্থাপন করছিলেন তিনি। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তখন ১৫ আসামি। তাদের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফ থানা পুলিশের বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ দেখা যায় আসামি প্রদীপ কুমার কাঠগড়ায় বসেই মোবাইল ফোনে কথা বলছেন! এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি এই প্রদীপ কুমার দাস।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের গাড়ি তল্লাশি কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।

বিজনেস আওয়ার/২৫ আগস্ট, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: