ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
  • 86

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলেটরে যাওয়া রোগীরা প্রায় সবায় মারা গেছেন। তাই করোনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটরের কোনো প্রয়োজন নেই। বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে আইন মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাটাই প্রস্তাব নিয়ে সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আইসিইউ নিয়ে অনেক কথা হলো। ভেন্টিলেটর নিয়ে বিরাট হৈ-চৈ। কিন্তু দেখা গেছে, ভেন্টিলেটরের কোনো প্রয়োজনই নেই। ভেন্টিলেটরে যারা গেছেন তাদের প্রায় সকলেই মৃত্যুবরণ করেছেন। আমাদের চারশ ভেন্টিলেটর আছে। এর মধ্যে ৫০টিও ব্যবহার হয়নি। সাড়ে তিনশত ভেন্টিলেটর খালি পড়ে আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সংসদ সদস্যরা সংসদে আমাদের কেবল দোষারোপ করে গেছেন। আমরা কী কাজ করেছি তা আসেনি তাদের বক্তব্যে। কোভিড আসার শুরু থেকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চীনে কোভিড দেখা দেয়ার পরপরই আমরা পোর্টগুলোতে স্ক্রিনিংসহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

প্রত্যেক জেলা-উপজেলার হাসপাতালে কোভিডের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করেছি। আমরা জাতীয়পর্যায়ে কমিটি তৈরি করেছি। ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। এই হার ভারতে ৬ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১৪ শতাংশ। এটা এমনিতেই হয়নি। সকলে কাজ করেছে বলেই এটা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, আমাদের মাত্র একটি টেস্টিং ল্যাব ছিল। দেড় মাসে আমরা এখন ৬৮টি ল্যাব করেছি। দিনে মাত্র দেড়শটা টেস্টের ব্যবস্থা ছিল, সেটা এখন ১৮ হাজারে উন্নীত হয়েছে। এটা এমনিতেই হয়নি। আমরা জানি আমাদের আরও টেস্ট দরকার। আরও করলে ভালো হয়। কিন্তু কোটি কোটি লোককে টেস্ট করতে পারবেন না। এটা আমাদের মানতে হবে।

ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ার বিষয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের থাকা-খওয়ার বিষয় নিয়ে যে কথা হয়েছে আমি খোঁজ নিয়েছি। কাল রাতে আমি এটা দেখেছি। ৫০টি হোটেল ভাড়া হয়েছে। সেখানে তিন হাজার ৭০০ মানুষ এক মাস থেকেছে। প্রত্যেকটি রুমের ভাড়া এগারোশত টাকা। খাওয়ার খরচ যেটা বলা হয়েছে, তা টোলালি রং।

এর আগে ছাটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন। গতকাল সোমবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘২০ কোটি টাকা অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। এটা আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। এত অস্বাভাবিক কেন হবে? যদি কোনো অনিয়ম হয় আমরা ব্যবস্থা নেব।’

বিজনেস আওয়ার/৩০ জুন, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

করোনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলেটরে যাওয়া রোগীরা প্রায় সবায় মারা গেছেন। তাই করোনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটরের কোনো প্রয়োজন নেই। বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে আইন মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাটাই প্রস্তাব নিয়ে সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আইসিইউ নিয়ে অনেক কথা হলো। ভেন্টিলেটর নিয়ে বিরাট হৈ-চৈ। কিন্তু দেখা গেছে, ভেন্টিলেটরের কোনো প্রয়োজনই নেই। ভেন্টিলেটরে যারা গেছেন তাদের প্রায় সকলেই মৃত্যুবরণ করেছেন। আমাদের চারশ ভেন্টিলেটর আছে। এর মধ্যে ৫০টিও ব্যবহার হয়নি। সাড়ে তিনশত ভেন্টিলেটর খালি পড়ে আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সংসদ সদস্যরা সংসদে আমাদের কেবল দোষারোপ করে গেছেন। আমরা কী কাজ করেছি তা আসেনি তাদের বক্তব্যে। কোভিড আসার শুরু থেকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চীনে কোভিড দেখা দেয়ার পরপরই আমরা পোর্টগুলোতে স্ক্রিনিংসহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

প্রত্যেক জেলা-উপজেলার হাসপাতালে কোভিডের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করেছি। আমরা জাতীয়পর্যায়ে কমিটি তৈরি করেছি। ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। এই হার ভারতে ৬ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১৪ শতাংশ। এটা এমনিতেই হয়নি। সকলে কাজ করেছে বলেই এটা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, আমাদের মাত্র একটি টেস্টিং ল্যাব ছিল। দেড় মাসে আমরা এখন ৬৮টি ল্যাব করেছি। দিনে মাত্র দেড়শটা টেস্টের ব্যবস্থা ছিল, সেটা এখন ১৮ হাজারে উন্নীত হয়েছে। এটা এমনিতেই হয়নি। আমরা জানি আমাদের আরও টেস্ট দরকার। আরও করলে ভালো হয়। কিন্তু কোটি কোটি লোককে টেস্ট করতে পারবেন না। এটা আমাদের মানতে হবে।

ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ার বিষয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের থাকা-খওয়ার বিষয় নিয়ে যে কথা হয়েছে আমি খোঁজ নিয়েছি। কাল রাতে আমি এটা দেখেছি। ৫০টি হোটেল ভাড়া হয়েছে। সেখানে তিন হাজার ৭০০ মানুষ এক মাস থেকেছে। প্রত্যেকটি রুমের ভাড়া এগারোশত টাকা। খাওয়ার খরচ যেটা বলা হয়েছে, তা টোলালি রং।

এর আগে ছাটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন। গতকাল সোমবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘২০ কোটি টাকা অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। এটা আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। এত অস্বাভাবিক কেন হবে? যদি কোনো অনিয়ম হয় আমরা ব্যবস্থা নেব।’

বিজনেস আওয়ার/৩০ জুন, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: