বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমারেল্ড অয়েলের পরিচালনা পর্ষদ আগামি ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর কথা জানিয়েছিল । তবে সেটা সম্ভব হচ্ছে না বলে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) জানিয়েছে। এছাড়া কবে শুরু হবে, সেটাও জানায়নি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১২ জুলাই এমারেল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে বাণির্জিক উৎপাদন শুরু করবে। এর মাধ্যমে প্রতি দিন কোম্পানিটির রাইস ব্রানের ইনপুটের ক্ষমতা হবে ৩৩০ মেট্রিক টন। আর প্রতিদিন রাইস ব্রান অয়েলের আউটপুট ক্ষমতা হবে ৪৮ মেট্রিক টন এবং ডিওআরবির ক্ষমতা হবে ২৮২ মেট্রিক টন।
তবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে আজ জানিয়েছে এমারেল্ড কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কবে শুরু করবে সেটা জানায়নি।
উৎপাদন শুরু করতে না পারার পেছনে করোনায় লকডাউনে অফিস বন্ধ থাকাকে কারন হিসেবে উল্লেখ করেছে এমারেল্ড কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, করোনার কারনে গত ২৩ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত অফিস বন্ধ ছিল। যাতে করে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স নবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া ব্যাংক ও এনবিএফআইয়ের দায় রিসিউল ও শেয়ার হস্তান্তর কার্যক্রম বিলম্ব হয়েছে।
এ বিষয়গুলো সমাধানে এমারেল্ডের আরও সময় দরকার বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। যে কারনে বর্তমান অবস্থার আলোকে আগামি ১ সেপ্টেম্বর উৎপাদন শুরু করা সম্ভব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমারেল্ডের পর্ষদ।
উৎপাদন শুরুর বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে বলে জানিয়েছে এমারেল্ড কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন…..
এমারেল্ড উৎপাদন বন্ধের খবর না জানালেও পূণ:রায় শুরুর ঘোষণা দেয়
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এমারেল্ড অয়েল কোম্পানি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায় ২০১১ সালে। কোম্পানিটি স্পন্দন নামে রাইস ব্রান অয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করে। কোম্পানিটির উৎপাদনে যাওয়ার তিন বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৪ সালের মার্চে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়।
কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। বর্তমানে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৮.২৬ শতাংশ পরিচালক, ১২.০৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৪৯.৬৮ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার রয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/২৬ আগস্ট, ২০২১/আরএ