ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনের ভয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার: ফখরুল

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
  • 50

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মহামারী করোনা নয়, আন্দোলনের ভয়ে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনে কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে একটি গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতা তৈরির ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, তাহলে সেজন্য তারা এতোদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। করোনা বা শিশুদের নিরাপত্তার কারণে নয়, আন্দোলনকে ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছে, এটাই প্রমাণিত হয়েছে তার কথায়।

জিয়াউর রহমানের মাজারে তার মরদেহ না থাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কখন কী বক্তব্য দেন, কেন দেন এটা এখন পর্যন্ত ঠিক আমাদের বোধগম্য হয়নি। নিশ্চয়ই মনে আছে ওনারা আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিলেন, তখন কোর্ট একটা কমেন্ট করেছিলেন এবং উনি গতকাল যে বক্তব্য বা উক্তিগুলো করেছেন তা কোনো রুচিবান মানুষ করতে পারে বলে আমি মনে করি না।

তিনি বলেন, এগুলো মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। দাফন হয়েছে, লাখ-লাখ মানুষ সেই জানাজায় শরিক হয়েছে। সাবেক সেনা অধিনায়ক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজেই তার (জিয়াউর রহমানের) বডি কেরি করেছেন। এটা ওপেন ক্লিয়ার, এর চাইতে বড় সত্য তো আর কিছু হতে পারে না। এখানে এসব ইস্যুগুলো নিয়ে আসা তারা যে কতটা রাজনীতি শূন্য হয়ে গেছেন, দেউলিয়া হয়ে গেছেন এটাই তার প্রমাণ।

জিয়াউর রহমানের মাজার নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা যেসব কথা বলেছে তাতে ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে আঘাত লেগেছে দাবি করেতিনি বলেন, এটা সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। শুধু-শুধু জিয়াউর রহমানকে টানা, এটা করতে গেলে এক সময় শেখ মুজিবুর রহমানকে টানা হয়। এগুলো আমরা করতে চাই না। এরা সবাই আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা, তাদেরকে সেই জায়গাতেই রাখা উচিত।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ শুধু কিছু ইস্যু তৈরি করে। আপনাদের (সাংবাদিক) দিয়ে সেই ইস্যুগুলো আমাদের প্রশ্ন করে, তা আবার সামনে নিয়ে আসে, এগুলো করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা মাত্র। ওই জায়গাটায় তারা আসে না কেন? আগামী নির্বাচনটা কীভাবে করবেন, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কীভাবে শক্তিশালী করবেন, কীভাবে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন, সেই কথাগুলোর তারা কোনো উত্তর দেয় না।

গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন- আমি নাকি তার কথার উত্তর দেই না, উনি কি পত্রিকা পড়েন। আমি শুধু তার কথার উত্তর দেই না, তার প্রতিটি কথার অত্যন্ত সঠিক তথ্যগুলো তুলে ধরি। উনি গতকাল কথাগুলো বলে… ছবি দেখাতে বলেছেন। আবার এসব কথার উত্তর দিতে গেলে মানহানির মামলা করে। এসব কথা বলতে আমাদের রুচিতে লাগে। এটা তো রাজনীতি নয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, করোনাতে কি করেছেন, মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য কি করেছেন, সেগুলো বলেন। মানুষ দরিদ্র হচ্ছে, আর আওয়ামী লীগের প্রতিটি লোক ধনী থেকে ধনী হচ্ছে। বিদেশে বাড়ি-গাড়ি করছে। রাষ্ট্রব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। সেগুলো নিয়ে তাদের কোনো কথা নেই, শুধুমাত্র নন-ইস্যুকে ইস্যু করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

বিজনেস আওয়ার/২৮ আগস্ট, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আন্দোলনের ভয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার: ফখরুল

পোস্ট হয়েছে : ০১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মহামারী করোনা নয়, আন্দোলনের ভয়ে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনে কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে একটি গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতা তৈরির ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, তাহলে সেজন্য তারা এতোদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। করোনা বা শিশুদের নিরাপত্তার কারণে নয়, আন্দোলনকে ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছে, এটাই প্রমাণিত হয়েছে তার কথায়।

জিয়াউর রহমানের মাজারে তার মরদেহ না থাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কখন কী বক্তব্য দেন, কেন দেন এটা এখন পর্যন্ত ঠিক আমাদের বোধগম্য হয়নি। নিশ্চয়ই মনে আছে ওনারা আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিলেন, তখন কোর্ট একটা কমেন্ট করেছিলেন এবং উনি গতকাল যে বক্তব্য বা উক্তিগুলো করেছেন তা কোনো রুচিবান মানুষ করতে পারে বলে আমি মনে করি না।

তিনি বলেন, এগুলো মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। দাফন হয়েছে, লাখ-লাখ মানুষ সেই জানাজায় শরিক হয়েছে। সাবেক সেনা অধিনায়ক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজেই তার (জিয়াউর রহমানের) বডি কেরি করেছেন। এটা ওপেন ক্লিয়ার, এর চাইতে বড় সত্য তো আর কিছু হতে পারে না। এখানে এসব ইস্যুগুলো নিয়ে আসা তারা যে কতটা রাজনীতি শূন্য হয়ে গেছেন, দেউলিয়া হয়ে গেছেন এটাই তার প্রমাণ।

জিয়াউর রহমানের মাজার নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা যেসব কথা বলেছে তাতে ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে আঘাত লেগেছে দাবি করেতিনি বলেন, এটা সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। শুধু-শুধু জিয়াউর রহমানকে টানা, এটা করতে গেলে এক সময় শেখ মুজিবুর রহমানকে টানা হয়। এগুলো আমরা করতে চাই না। এরা সবাই আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা, তাদেরকে সেই জায়গাতেই রাখা উচিত।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ শুধু কিছু ইস্যু তৈরি করে। আপনাদের (সাংবাদিক) দিয়ে সেই ইস্যুগুলো আমাদের প্রশ্ন করে, তা আবার সামনে নিয়ে আসে, এগুলো করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা মাত্র। ওই জায়গাটায় তারা আসে না কেন? আগামী নির্বাচনটা কীভাবে করবেন, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কীভাবে শক্তিশালী করবেন, কীভাবে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন, সেই কথাগুলোর তারা কোনো উত্তর দেয় না।

গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন- আমি নাকি তার কথার উত্তর দেই না, উনি কি পত্রিকা পড়েন। আমি শুধু তার কথার উত্তর দেই না, তার প্রতিটি কথার অত্যন্ত সঠিক তথ্যগুলো তুলে ধরি। উনি গতকাল কথাগুলো বলে… ছবি দেখাতে বলেছেন। আবার এসব কথার উত্তর দিতে গেলে মানহানির মামলা করে। এসব কথা বলতে আমাদের রুচিতে লাগে। এটা তো রাজনীতি নয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, করোনাতে কি করেছেন, মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য কি করেছেন, সেগুলো বলেন। মানুষ দরিদ্র হচ্ছে, আর আওয়ামী লীগের প্রতিটি লোক ধনী থেকে ধনী হচ্ছে। বিদেশে বাড়ি-গাড়ি করছে। রাষ্ট্রব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। সেগুলো নিয়ে তাদের কোনো কথা নেই, শুধুমাত্র নন-ইস্যুকে ইস্যু করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

বিজনেস আওয়ার/২৮ আগস্ট, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: