বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। করোনার প্রকোপের কারণে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য স্বর্ণ কিনে মজুত করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। মঙ্গলবার প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ১৭৮০ ডলার ছাড়িয়েছে।
মহামারি করোনার প্রেক্ষিতে চলতি বছরের শুরু থেকেই স্বর্ণের দাম বাড়তে শুরু করে। গত বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১৪৫৪ ডলার। এরপর করোনার প্রকোপের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬০ ডলারে ওঠে। মার্চে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামে বড়পতন হয়। এক ধাক্কায় দাম কমে প্রতি আউন্স ১৪৬৯ ডলারে নেমে আসে।
মার্চে দরপতন হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয়নি। হু হু করে দাম বেড়ে মে মাসে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৭৪৮ ডলারে ওঠে। এরপর ছোটখাটো উত্থান-পতন হলেও সম্প্রতি টানা বাড়ছে স্বর্ণের দাম। গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ১৭৭২ ডলারে ওঠে। এতে বছরের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বাড়ে ২৫ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহের দুই কার্যদিবসের প্রতি কার্যদিবসেই স্বর্ণের দাম বেড়েছে। তবে মঙ্গলবার (৩০ জুন) বড় উত্থান হয়েছে। একদিনে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১০ ডলার বেড়ে রেকর্ড ১৭৮৩.৩০ ডলারে উঠেছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং বছরের ব্যবধানে প্রায় ২৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাড়ল স্বর্ণের দাম।
এর আগে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম উঠেছিল ১৭৮১ ডলারে । এরপর গত আট বছরের মধ্যে এবারই প্রথম প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৭৮০ ডলার ছাড়িয়ে গেল। অবশ্য গতকাল মঙ্গলবার প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৭৮২ ডলার স্পর্শ করায় ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে রেকর্ড ভেঙে গেছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে গত ২২ জুন বাংলাদেশে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পাঁচ হাজার ৭১৫ টাকা বাড়ানো হয়। অবশ্য দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর পরে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ২০ ডলারের উপরে বেড়েছে।
বিজনেস আওয়ার/০১ জুলাই, ২০২০/এ