ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিথ্যা তথ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনলে জেল-জরিমানা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • 80

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মিথ্যা তথ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘সরকারি ঋণ আইন, ২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কোনো ব্যক্তি সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের উদ্দেশ্যে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করলে অনধিক ৬ মাসের মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অনধিক এক লাখ টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

তিনি বলেন, যে টাকা পয়সা ডিপোজিট করবে তা নিয়ে যদি মিথ্যা কথা বলে, তা কোথা থেকে এলো, ইনকাম ট্যাক্স ইস্যু করা না থাকে, সে যদি মিথ্যা তথ্য দেয়, তাহলে সেক্ষেত্রে এ শাস্তি দেওয়া হবে। জনগণকে এটা ওপেনলি জানানো হবে, সরকারি ঋণ আইনের মাধ্যমে কত টাকা হলো এবং এটি কী অবস্থা বা মুনাফা বা সুদ দেওয়া হলো, তা জনগণকে জানানো হবে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের সরকারি ঋণ অ্যাক্ট ১৯৪৪ ছিল, প্রয়োজনীয় অ্যামেন্ডমেন্ট করে বিভিন্ন সময়ে করা হয়েছে। বাস্তব অবস্থার পরিস্থিতিতে ঋণ পদ্ধতি ও ডিপোজিট সিস্টেমও চেঞ্জ হয়ে গেছে। তাই নতুন আইন করতে হচ্ছে। বিস্তারিত আলোচনার পর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আইনের উদ্দেশ্য নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনার সংশিষ্ট দফতরগুলোর জন্য অধিকতর আধুনিক প্রক্রিয়ায় ঋণ সংগ্রহ, টেকসই ঋণ নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং ঋণ কৌশলপত্র প্রস্তুত, ঋণের ঝুঁকি নিরূপণ এবং সরকারের দায় হিসাবায়নের পথ অধিকতর সম্প্রসারণ করা।

খসড়া আইনে ৪০টি ধারা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর মূল বিষয় সরকারের বাজেট ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ঘাটতি অর্থায়ন বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য সরকার কর্তৃক গৃহীত বা দেশীয় বা বিদেশি মুদ্রায় গৃহীত সুদ বা মুনাফা যুক্ত বা সুদ বা মুনাফা মুক্ত যেকোনো প্রকারের ঋণ বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার যে ঋণটা নেবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আর বিপরীতে একটি গ্যারান্টি থাকবে, যে টাকাটা সে দেবে সে টাকা ফেরত পাওয়ার গ্যারান্টি থাকবে। অনেক সময় প্রাইভেট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যারা গ্রাহক তাদের সুবিধা দেয়, যেহেতু সরকার করবে তাই গ্রাহককে এই নিরাপত্তা দেবে, যেভাবেই হউক প্রপার ডিউ তা ব্যাক পাবে।

বিজনেস আওয়ার/০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মিথ্যা তথ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনলে জেল-জরিমানা

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মিথ্যা তথ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘সরকারি ঋণ আইন, ২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কোনো ব্যক্তি সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের উদ্দেশ্যে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করলে অনধিক ৬ মাসের মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অনধিক এক লাখ টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

তিনি বলেন, যে টাকা পয়সা ডিপোজিট করবে তা নিয়ে যদি মিথ্যা কথা বলে, তা কোথা থেকে এলো, ইনকাম ট্যাক্স ইস্যু করা না থাকে, সে যদি মিথ্যা তথ্য দেয়, তাহলে সেক্ষেত্রে এ শাস্তি দেওয়া হবে। জনগণকে এটা ওপেনলি জানানো হবে, সরকারি ঋণ আইনের মাধ্যমে কত টাকা হলো এবং এটি কী অবস্থা বা মুনাফা বা সুদ দেওয়া হলো, তা জনগণকে জানানো হবে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের সরকারি ঋণ অ্যাক্ট ১৯৪৪ ছিল, প্রয়োজনীয় অ্যামেন্ডমেন্ট করে বিভিন্ন সময়ে করা হয়েছে। বাস্তব অবস্থার পরিস্থিতিতে ঋণ পদ্ধতি ও ডিপোজিট সিস্টেমও চেঞ্জ হয়ে গেছে। তাই নতুন আইন করতে হচ্ছে। বিস্তারিত আলোচনার পর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আইনের উদ্দেশ্য নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনার সংশিষ্ট দফতরগুলোর জন্য অধিকতর আধুনিক প্রক্রিয়ায় ঋণ সংগ্রহ, টেকসই ঋণ নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং ঋণ কৌশলপত্র প্রস্তুত, ঋণের ঝুঁকি নিরূপণ এবং সরকারের দায় হিসাবায়নের পথ অধিকতর সম্প্রসারণ করা।

খসড়া আইনে ৪০টি ধারা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর মূল বিষয় সরকারের বাজেট ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ঘাটতি অর্থায়ন বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য সরকার কর্তৃক গৃহীত বা দেশীয় বা বিদেশি মুদ্রায় গৃহীত সুদ বা মুনাফা যুক্ত বা সুদ বা মুনাফা মুক্ত যেকোনো প্রকারের ঋণ বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার যে ঋণটা নেবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আর বিপরীতে একটি গ্যারান্টি থাকবে, যে টাকাটা সে দেবে সে টাকা ফেরত পাওয়ার গ্যারান্টি থাকবে। অনেক সময় প্রাইভেট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যারা গ্রাহক তাদের সুবিধা দেয়, যেহেতু সরকার করবে তাই গ্রাহককে এই নিরাপত্তা দেবে, যেভাবেই হউক প্রপার ডিউ তা ব্যাক পাবে।

বিজনেস আওয়ার/০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: