বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গত কিছুদিন ধরে মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করা ‘নগদ’ নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। তবে আলোচনা জোরদার করা হয়েছে কোম্পানিটিকে বিতর্কিতভাবে বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দেওয়ার পরে। যে বন্ডের টাকা পরিশোধের সক্ষমতা নিয়েও আছে শঙ্কা। কারণ একই খাতের সবচেয়ে বেশি বাজার দখল করা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বিকাশ এখনো বড় লোকসানে।
নগদের মালিকানা, লাইসেন্স ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। এরইমধ্যে লোকসানি এই প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৫১০ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
অথচ ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিকাশ মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি আর্থিক লেনদেন করা সত্ত্বেও বড় লোকসানে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন ২১) বিকাশের লোকসান হয়েছে ৭২ কোটি টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৩৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

(ব্র্যাক ব্যাংকের এককভাবে মুনাফার হিসাব)
এই কোম্পানিটির লোকসানের কারনে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। যে কারনে চলতি বছরের ৬ মাসে এককভাবে ২৮৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা মুনাফা করা ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিত হিসাবে তা কমে হয়েছে ২৫৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

(ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিত মুনাফার হিসাব)
ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশের পাশাপাশি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ ও ব্র্যাক সজন এক্সচেঞ্জ রয়েছে। এরমধ্যে বিকাশের ৫১% মালিকানা রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের।
এছাড়া ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টসের ৯৯.৯৪৫%, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের ৯০% ও ব্র্যাক সজন এক্সচেঞ্জের ৭৫% মালিকানা ব্র্যাক ব্যাংকের দখলে।
বিজনেস আওয়ার/০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১/আরএ
One thought on “এখনো বড় লোকসান গুনে বিকাশ”