বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। প্রতি বছর ১০ই সেপ্টেম্বর আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশে ২০০৩ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কর্মের মাধ্যমে আশা তৈরি করা’।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, ২০২০ সালে ১১ হাজার ২৫৯ জন আত্মহত্যা করে। ব্যুরোর এর আগের বছরের হিসাবে অর্থাৎ ২০১৯ সালে ৯ হাজার ৩১০ জন আত্মহত্যা করে। সরকারের হিসাবে করোনাকালে ১৭.৩১ শতাংশ আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে।
তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা যায়, করোনাকালে এক বছরে দেশে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন নারী-পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। ২০১৯ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে সংগঠনটি জানায়, করোনাকালে ৪৪.৩৬ শতাংশ আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে।
চিন্তা রিসার্চ বাংলাদেশ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের গবেষণায় দেখা যায়, করোনা ভীতি এবং সামাজিক অবস্থা—এই দুই কারণে বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। এই যৌথ গবেষণা কাজের অন্যতম গবেষক মোহাম্মদ এ মামুন বলেন, তাদের গবেষণায় দেখা যায় করোনার শুরুর সময় করোনাজনিত আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়ে ৫ শতাংশ। এপ্রিল মাসে অর্থাৎ একমাস পরে এই ঝুঁকি বাড়ে ৬.১ শতাংশ। এপ্রিল-মে মাসে ঝুঁকি বাড়ে ১২.৮ শতাংশ এবং জুলাইয়ে গিয়ে আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়ে ১৯ শতাংশ। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এ আত্মহত্যার প্রবণতা কিছুটা কমে আসে।
ব্রাইটার টুমরো ফাউন্ডেশন (বিটিএফ) জানায়, বিশ্বে ও আমাদের দেশে আত্মহত্যা ও আত্মহত্যা প্রবণতা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে আত্মহত্যায়। ১৪ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ আত্মহত্যা। কিন্তু প্রতিরোধে তেমন কোনো সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি।
বিজনেস আওয়ার/১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১/কমা