ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আপন ঠিকানায় শিক্ষার্থীরা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • 70

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ৫৪৩ দিন বন্ধ থাকার পর আপন ঠিকানায় প্রবেশ করল শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর ক্লাসে বসার আনন্দে মাতোয়ারা ছাত্রছাত্রীরা। এক সপ্তাহ ধরে তারা স্কুলব্যাগ, ড্রেস, জুতা ইত্যাদি কিনে প্রস্তুতির পর আজ তারা স্কুলে প্রবেশ করেছে।

রবিববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্কুল খোলার কার্যক্রমের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর তিনি লেক সার্কাস স্কুল পরিদর্শন করবেন। অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মতিঝিল আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন।

শহরাঞ্চলের স্কুল-কলেজ অনেকটাই নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। এছাড়া বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবু অভিভাবকরা কিছুটা অস্বস্তি আর উদ্বেগে আছেন।

সার্বিক বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন শনিবার বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ আছে সরাসরি পাঠদান। এতে শিক্ষার অপরিমেয় ক্ষতি হচ্ছিল।

তাই ক্ষতি আর না বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন মহলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হচ্ছে। পুনরায় ক্লাস শুরু উপলক্ষ্যে সরকার সার্বিক পদক্ষেপ নিয়েছে। মহামারি পরিস্থিতির বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে।

আমরা শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ৯০ শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

দৈনিক প্রত্যেকটি স্কুল মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ঢাকায় আসা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। স্কুল খোলাকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের সমস্যা সমাধানের জন্য শনিবার মন্ত্রণালয় খোলা রাখা হয়েছিল।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট ৯ স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের জন্য ৬৩ দফা নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুতের জন্য দেওয়া হয়েছে আলাদা ১৯ দফা নির্দেশিকা।

রুটিন তৈরির জন্য পাঠানো হয়েছে ১১ দফা করণীয়। আর স্কুল-কলেজের হোস্টেল খুলতে আলাদাভাবে দেওয়া হয়েছে ১৪ নির্দেশনা। প্রাথমিক স্তরের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে মৌলিক রুটিন করে দেওয়া হয়েছে।

আর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদাভাবে দেওয়া হয়েছে ১৬ দফা নির্দেশনা। উভয় ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই স্তরে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্কুল পরিচালনা করতে গিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা হলো কিনা সেই তথ্য দৈনিকই শিক্ষার মাঠ প্রশাসন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে পাঠাতে হবে ঢাকায়।

এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখতে সাধারণ মাঠ প্রশাসনকেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১১ দফা নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা দৈনিক স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার সমস্যাসহ সার্বিক দিক বিকাল ৩টার মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) জানাবেন।

একইভাবে উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারাও মনিটরিং করে প্রতিদিন বেলা ৪টার মধ্যে মাউশিতে প্রতিবেদন দেবেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্য সংগ্রহ করবেন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা। সমস্যা হলে তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) জানাতে হবে।

বিজনেস আওয়ার/১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আপন ঠিকানায় শিক্ষার্থীরা

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ৫৪৩ দিন বন্ধ থাকার পর আপন ঠিকানায় প্রবেশ করল শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর ক্লাসে বসার আনন্দে মাতোয়ারা ছাত্রছাত্রীরা। এক সপ্তাহ ধরে তারা স্কুলব্যাগ, ড্রেস, জুতা ইত্যাদি কিনে প্রস্তুতির পর আজ তারা স্কুলে প্রবেশ করেছে।

রবিববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্কুল খোলার কার্যক্রমের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর তিনি লেক সার্কাস স্কুল পরিদর্শন করবেন। অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মতিঝিল আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন।

শহরাঞ্চলের স্কুল-কলেজ অনেকটাই নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। এছাড়া বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবু অভিভাবকরা কিছুটা অস্বস্তি আর উদ্বেগে আছেন।

সার্বিক বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন শনিবার বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ আছে সরাসরি পাঠদান। এতে শিক্ষার অপরিমেয় ক্ষতি হচ্ছিল।

তাই ক্ষতি আর না বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন মহলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হচ্ছে। পুনরায় ক্লাস শুরু উপলক্ষ্যে সরকার সার্বিক পদক্ষেপ নিয়েছে। মহামারি পরিস্থিতির বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে।

আমরা শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ৯০ শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

দৈনিক প্রত্যেকটি স্কুল মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ঢাকায় আসা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। স্কুল খোলাকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের সমস্যা সমাধানের জন্য শনিবার মন্ত্রণালয় খোলা রাখা হয়েছিল।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট ৯ স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের জন্য ৬৩ দফা নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুতের জন্য দেওয়া হয়েছে আলাদা ১৯ দফা নির্দেশিকা।

রুটিন তৈরির জন্য পাঠানো হয়েছে ১১ দফা করণীয়। আর স্কুল-কলেজের হোস্টেল খুলতে আলাদাভাবে দেওয়া হয়েছে ১৪ নির্দেশনা। প্রাথমিক স্তরের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে মৌলিক রুটিন করে দেওয়া হয়েছে।

আর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদাভাবে দেওয়া হয়েছে ১৬ দফা নির্দেশনা। উভয় ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই স্তরে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্কুল পরিচালনা করতে গিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা হলো কিনা সেই তথ্য দৈনিকই শিক্ষার মাঠ প্রশাসন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে পাঠাতে হবে ঢাকায়।

এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখতে সাধারণ মাঠ প্রশাসনকেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১১ দফা নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা দৈনিক স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার সমস্যাসহ সার্বিক দিক বিকাল ৩টার মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) জানাবেন।

একইভাবে উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারাও মনিটরিং করে প্রতিদিন বেলা ৪টার মধ্যে মাউশিতে প্রতিবেদন দেবেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্য সংগ্রহ করবেন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা। সমস্যা হলে তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) জানাতে হবে।

বিজনেস আওয়ার/১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: