ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দরপতন হলেও দেশে কমছে না!

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • 47

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যায়। মাঝে কিছুটা দাম কমলেও, এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে স্বর্ণের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দু’দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

জুনের শুরুতে বিশ্ববাজারে বড় দরপতনে দেশের বাজারেও কমানো হয় স্বর্ণের দাম। কিন্তু আগস্টের মাঝামাঝি বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বেশ অস্থিরতা দেখা দেয়। কয়েক দফা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১০০ ডলারের মতো বেড়ে যায়। তখন বাংলাদেশেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়।

সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট বাজুস ভরিতে ১ হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা নির্ধারিত হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭০ হাজার ৩৩৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬১ হাজার ৫৮৬ এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৫১ হাজার ২৬৩ টাকা নির্ধারিত হয়।

বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর পর গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের বড় দরপতন হয়। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮২৬ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা কমে নামে ১ হাজার ৭৮৮ ডলারে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৩৮ বা ২ দশমিক ১১ শতাংশ।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হবে কি না এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমরা স্বর্ণের দাম পুনর্নির্ধারণ করার কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আপাতত দেশের বাজারে দাম কমানো-বাড়ানো হচ্ছে না।

বিজনেস আওয়ার/১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দরপতন হলেও দেশে কমছে না!

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যায়। মাঝে কিছুটা দাম কমলেও, এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে স্বর্ণের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দু’দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

জুনের শুরুতে বিশ্ববাজারে বড় দরপতনে দেশের বাজারেও কমানো হয় স্বর্ণের দাম। কিন্তু আগস্টের মাঝামাঝি বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বেশ অস্থিরতা দেখা দেয়। কয়েক দফা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১০০ ডলারের মতো বেড়ে যায়। তখন বাংলাদেশেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়।

সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট বাজুস ভরিতে ১ হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা নির্ধারিত হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭০ হাজার ৩৩৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬১ হাজার ৫৮৬ এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৫১ হাজার ২৬৩ টাকা নির্ধারিত হয়।

বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর পর গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের বড় দরপতন হয়। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮২৬ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা কমে নামে ১ হাজার ৭৮৮ ডলারে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৩৮ বা ২ দশমিক ১১ শতাংশ।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হবে কি না এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমরা স্বর্ণের দাম পুনর্নির্ধারণ করার কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আপাতত দেশের বাজারে দাম কমানো-বাড়ানো হচ্ছে না।

বিজনেস আওয়ার/১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: