ঢাকা , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আনোয়ার হোসেন নেই ৮ বছর

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • 75

বিনোদন ডেস্ক : বাংলার ‘মুকুটহীন সম্রাট’খ্যাত অভিনেতা আনোয়ার হোসেনকে হারানোর ৮ বছর আজ। ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি। বরেণ্য এই অভিনয়শিল্পী ১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নজির হোসেন ও মায়ের নাম সাঈদা খাতুন।

১৯৫১ সালে আনোয়ার হোসেন জামালপুর স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। আনোয়ার হোসেন স্কুলজীবনে প্রথম অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত প্রথম নাটক- ‘পদক্ষেপ’ (আসকার ইবনে সাইকের লেখা)।

১৯৫৭ সালে আনোয়ার হোসেন ঢাকায় চলে আসেন। ওই বছরই পরিচয় ঘটে পরিচালক মহিউদ্দিনের সঙ্গে। এরপরই তিনি অভিনয় শিল্পে জড়িয়ে পড়েন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম- ‘তোমার আমার’। প্রথম চলচ্চিত্র দিয়েই তাক লাগিয়ে দেন ‘নবাব’। সেই থেকে একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে থাকেন এই বরেণ্য শিল্পী।

আনোয়ার হোসেন অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাহ`, ‘নাগর দোলা’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘সূর্যস্নান’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জোয়ার এলো’, ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘নাচঘর’, ‘দুই দিগন্ত’, ‘বন্ধন’, ‘পালঙ্ক’, ‘অপরাজেয়’, ‘পরশমণি’, ‘শহীদ তিতুমীর’, ‘ঈশা খাঁ’, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘রংবাজ’, ‘নয়নমনি’, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘ভাত দে’ উল্লেখযোগ্য।

প্রায় পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এই কিংবদন্তি কাজের স্বীকৃতি সরূপ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১০, আজীবন সম্মাননা, পাকিস্তানের নিগার ও বাচসাস পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন। নায়ক হিসেবে তার শেষ চলচ্চিত্র ‘সূর্য সংগ্রাম’।

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আনোয়ার হোসেন নেই ৮ বছর

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিনোদন ডেস্ক : বাংলার ‘মুকুটহীন সম্রাট’খ্যাত অভিনেতা আনোয়ার হোসেনকে হারানোর ৮ বছর আজ। ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি। বরেণ্য এই অভিনয়শিল্পী ১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নজির হোসেন ও মায়ের নাম সাঈদা খাতুন।

১৯৫১ সালে আনোয়ার হোসেন জামালপুর স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। আনোয়ার হোসেন স্কুলজীবনে প্রথম অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত প্রথম নাটক- ‘পদক্ষেপ’ (আসকার ইবনে সাইকের লেখা)।

১৯৫৭ সালে আনোয়ার হোসেন ঢাকায় চলে আসেন। ওই বছরই পরিচয় ঘটে পরিচালক মহিউদ্দিনের সঙ্গে। এরপরই তিনি অভিনয় শিল্পে জড়িয়ে পড়েন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম- ‘তোমার আমার’। প্রথম চলচ্চিত্র দিয়েই তাক লাগিয়ে দেন ‘নবাব’। সেই থেকে একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে থাকেন এই বরেণ্য শিল্পী।

আনোয়ার হোসেন অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাহ`, ‘নাগর দোলা’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘সূর্যস্নান’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জোয়ার এলো’, ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘নাচঘর’, ‘দুই দিগন্ত’, ‘বন্ধন’, ‘পালঙ্ক’, ‘অপরাজেয়’, ‘পরশমণি’, ‘শহীদ তিতুমীর’, ‘ঈশা খাঁ’, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘রংবাজ’, ‘নয়নমনি’, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘ভাত দে’ উল্লেখযোগ্য।

প্রায় পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এই কিংবদন্তি কাজের স্বীকৃতি সরূপ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১০, আজীবন সম্মাননা, পাকিস্তানের নিগার ও বাচসাস পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন। নায়ক হিসেবে তার শেষ চলচ্চিত্র ‘সূর্য সংগ্রাম’।

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: