বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিট সুরক্ষার জন্য করণীয় করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের অবন্টিত লভ্যাংশ কি করা উচিত, তা নিয়ে নাক গলাচ্ছে। যেটাকে সঠিক বলে মনে করছেন না বাজার সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবন্টিত লভ্যাংশ স্থানান্তর নিয়ে মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আপত্তি তুলেছে। তারা স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবন্টিত লভ্যাংশ দিতে চাইছে না। এছাড়া যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এরইমধ্যে জমা দিয়েছে, সেগুলো ফেরতও নিতে চাইছে।
তবে বিএসইসি এই ফান্ড গঠনের কাজ দীর্ঘদিন ধরে করে আসলেও তাতে কখনো আপত্তি তোলেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া মুদ্রাবাজারের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি থেকে স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে টাকা জমা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের পরে গিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে।
অথচ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সকল কোম্পানির অবন্টিত লভ্যাংশের মালিক শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের। যেটাকে বাজারের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চায় বিএসইসি।
আরও পড়ুন…..
স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে ব্যাংকের টাকা জমা নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই
এছাড়া পরিশোধিত মূলধনের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। কোম্পানিগুলোকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের পরে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিএসইসির অনুমোদন নিতে হয়। অন্যথায় মূলধন বাড়ানো যায় না। যে মূলধন বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমেও বাড়ানো হয়।
এ হিসেবে লভ্যাংশের বিষয়টিও বিএসইসির দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে অবন্টিত লভ্যাংশ স্থানান্তর নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যা করছে, তা ঠিক না। এ বিষয়ে বিএসইসির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সমন্বয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহকদের আমানতের (ডিপোজিট) সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে। আর বিএসইসি কাজ করে পরিশোধিত মূলধন ও লভ্যাংশ নিয়ে। এমতাবস্থায় বিএসইসি শেয়ারবাজারের উন্নয়নে অবন্টিত লভ্যাংশ ব্যবহার করতেই পারে।
বিজনেস আওয়ার/১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১/আরএ