বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিদেশীদের বিনিয়োগকে জাতীয়ভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। শুধুমাত্র বিএসইসি না, এক্ষেত্রে সব রেগুলেটর প্রতিষ্ঠান কাজ করে। এছাড়া বিনিয়োগ করা ও প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। অতএব আপনারা (সুইজারল্যান্ডবাসী) নিশ্চিন্তায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুইদিনের রোড শো অনুষ্ঠানের ২য় দিন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় তিনি এ কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান।
অনুষ্ঠানে বিদেশীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা খুব সহজেই নন-রেসিডেন্ট ইনভেস্টরস টাকা (নিটা) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে শুরুতে একটি নিটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এছাড়া বিকল্প হিসেবে ফরেন কারেন্সী অ্যাকাউন্ট (এফসিএ) খোলা যেতে পারে। এরপরে বিও অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেরাই লেনদেনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারেন অথবা ফান্ড ম্যানেজারদের মাধ্যমেও বিনিয়োগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন….
সুইজারল্যান্ডকে প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের আহবান-বিএসইসি চেয়ারম্যান
এখন বিও হিসাব খোলা খুবই সহজ জানিয়ে তিনি বলেন, যেকোন জায়গায় বসেই অনলাইনে নিজেই বিও হিসাব খোলা যায়। এরপরে বিনিয়োগ শুরু করে দিতে পারবেন।
এজন্য শুরুতে নিটা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে বলে জানান তিনি। এরপরে ব্রোকার বা পোর্টফোলিও ম্যানেজারের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ক্রয় আদেশ দিলে আপনাদের বিও হিসাবে সিকিউরিটিজ জমা হবে। আর চাইলে খুব সহজেই বিনিয়োগকৃত অর্থ নিটা অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য আমাদের বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন ধরনের শেয়ার (কমন শেয়ার, আইপিও, প্রিফারেন্স শেয়ার), বন্ড (সুকুক বন্ড, গ্রীন বন্ড), ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইত্যাদি রয়েছে।
বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, বিনিয়োগকৃত সিকিউরিটিজের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরী অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)। আপনাদের বিও হিসাবের কোন ধরনের পরিবর্তনসহ ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য সিডিবিএল মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ ও ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে।
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশীদের জন্য কর হারে সুবিধা রয়েছে বলেও জানান তিনি। বিদেশীদের ক্ষেত্রে লভ্যাংশের উপর ৩০ শতাংশ ও ক্যাপিটাল গেইনের উপরে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয় বলে উল্লেখ করেন।
এসময় তিনি সুইজার্যলান্ডবাসী ও সুইজারল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসি বাংলাদেশীদেরকে যেকোন প্রয়োজনে বিএসইসির কাছে প্রশ্ন করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। যার উত্তর বা ব্যাখা দিতে কমিশন নিয়মিত কাজ করে থাকে।
বিজনেস আওয়ার/২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১/আরএ
One thought on “বিদেশীদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা জাতীয়ভাবে”