1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : user : user
  3. [email protected] : Admin : Admin
  4. [email protected] : Nayan Babu : Nayan Babu
ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উধাও
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উধাও

  • পোস্ট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
print sharing button

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ভেদ করে ব্যাংকের গুলশান শাখার ভল্ট থেকে এই পরিমাণ টাকা উধাওয়ের ঘটনা ঘটে। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল এমন তথ্য উদঘাটন করে।

জানা গেছে, কাগজে-কলমে শাখার ভল্টে ৩১ কোটি টাকা দেখানো হলেও প্রকৃত পক্ষে ছিল ১২ কোটি টাকা। বাকি ১৯ কোটি টাকার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এরপর বিষয়টি ধামা চাপা দিতে নানা তৎপরতা শুরু হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, ভল্টের টাকার গরমিল থাকলে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হয়। কিন্তু গতকাল বুধবার পর্যন্ত ব্যাংকটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক থেকেও বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়নি। তবে ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে ব্যাংকের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, ভল্ট ডাকাতির কথা শোনা গেলেও, ভল্টে ঘোষণার চেয়ে কম টাকা পাওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে খুব বেশি শোনা যায়নি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর বিভিন্ন ব্যাংক ও বড় শাখাগুলোতে বিশদ পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারই অংশ হিসেবে ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখা পরিদর্শনে ভল্টের টাকার গরমিল পাওয়া যায়। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি, নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থাও নিচ্ছি। ব্যাংকের ভল্টে ঘোষণার কম টাকা থাকবে, এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।’

ব্যাংকিং নিয়ম অনুযায়ী, ভল্টের চাবি থাকে দুজনের কাছে। শাখা ব্যবস্থাপক, শাখা পরিচালনা ব্যবস্থাপক, ক্যাশ ইনচার্জ ও ক্যাশ অফিসার—এ চার পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যেকোনো দুজনের কাছে চাবি থাকবে। দুজনের উপস্থিতি ও চাবি ছাড়া ভল্ট খোলা ও বন্ধের সুযোগ নেই। প্রতিদিন লেনদেন শেষে ঠিক কত টাকার কতটি নোট ভল্টে জমা রাখা হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট রেজিস্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হয়। সেই খাতাও থাকে ভল্টের ভেতরে। টাকার হিসাব মেলার পর কর্মকর্তারা প্রতিদিন ওই রেজিস্টারে স্বাক্ষর করেন। তাই ভল্টের টাকার গরমিলের সুযোগ কম। শাখা ব্যবস্থাপক ও প্রধান শাখার কর্মকর্তারা হঠাৎ হঠাৎ ভল্ট পরিদর্শন করে টাকার হিসাব মিলিয়ে দেখেন। গরমিল পাওয়া গেলে দায়িত্বপ্রাপ্তদের জবাবদিহি করতে হয়। সন্তোষজনক জবাব পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার বিধান রয়েছে।

ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, যেটি মূলত ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবসায় জড়িত। এই ব্যাংকটি ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটি শেয়ারবাজার ৪২ কোটি ৮০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৪২৮ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।

শেয়ারবাজার থেকে ব্যাংকটি অর্থ উত্তোলন করে এসএমই ও প্রজেক্ট অর্থায়ন, সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু হয়েছে ১৬.৩৮ টাকা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুন:মূল্যায়ন করেনি) এবং শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হগয়েছে ১.৭৭ টাকা। বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৮২ টাকা।

আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে যথাক্রমে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট এবং ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক এর ডিওএস সাক্যুলার নং ০১ তারিখ ১০/০২/২০২০ অনুযায়ী ব্যাংকটি ২০২১ সালের মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এছাড়া ও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পূর্বে ব্যাংকটি কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।

বিজনেস আওয়ার/২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো সংবাদ