ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজারের বিশেষ তহবিলের অর্থ গ্রীন সুকুক বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • 72

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে অর্থ সরবরাহ বাড়ানোর জন্য ব্যাংকের বিশেষ তহবিলের ২০০ কোটি টাকা গ্রীন সুকুক বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ করে সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন ‘শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিশেষ তহবিল গঠন এবং বিনিয়োগের নীতিমালা’ সংশোধন করে এই সার্কুলার জারি করেছে।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের সম্পূর্ণ অংশ (লভ্যতা অনুসারে) ন্যূনতম ৭০ শতাংশ সৌর বিদ্যুৎ, বায়ুশক্তি চালিত বিদ্যুৎ, জল বিদ্যুৎ, বায়োমাস ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগের উদ্দেশে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ইস্যু করা তালিকাভুক্ত বা সাবস্ক্রিপশন ক্লোজিংয়ের তারিখ থেকে ১ বছরের মধ্যে তালিকাভুক্ত হবে, এমন ১০০ শতাংশ অ্যাসেট ব্যাকড গ্রীন সুকুকে বিনিয়োগ করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে।

১. পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ মার্জিনে ঋণপত্র খুলতে হবে।
২. পণ্য ১২০ দিনের মধ্যে জাহাজীকরণ বা সরবরাহ করার শর্ত থাকতে হবে।
৩. সব ধরনের স্থানীয় ব্যয়, যদি থাকে তাহলে ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
৪. প্রকল্প উন্নয়নে সর্বোচ্চ ৮ মাস সময় বরাদ্দ থাকতে পারে।

আরও পড়ুন……
বেক্সিমকোর সুকুকে সময় বাড়ানো হলেও আবেদন জমা পড়েনি

এরপরে ২য় দফায় বেক্সিমকোর বন্ডে ১ মাস বাড়ানো সময়ও এখন শেষের পথে

অন্যান্য শর্তগুলো হচ্ছে-

১. সুকুকের তহবিল ‘স্পেশাল পার্পাস ভেহিকেল’ বা এসপিভি নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে। ওই ব্যাংক হিসাব থেকে সুকুকের জন্য নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট ব্যয় ব্যতীত অন্য কোন খাতে খরচ বা কর্জ প্রদান করা যাবে না।

২. প্রাইভেট প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে কোনো কারণে বিএসইসির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুকুকের সাবস্ক্রিপশন সম্পূর্ণ না হলে বা সুকুক ইস্যুর বিষয়টি বাতিল হলে সংশ্লিষ্ট এসপিভির মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যে বিনিয়োগকারী ব্যাংক হিসাবে সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে হবে। এ বিষয়ে সুকুকের ট্রাস্টি এসপিভি এবং বিনিয়োগকারী ব্যাংকের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করতে হবে।

৩. সেকেন্ডারি মার্কেট বা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বা উভয় প্রকারে কোনো সুকুকের মোট ইস্যুর ১০ শতাংশের বেশি পরিমাণ কোনো ব্যাংক বিনিয়োগ করতে পারবে না।

৪. রূপান্তরযোগ্য সুকুকের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের পর ইক্যুয়িটি ধারণ যাতে ১০ শতাংশের বেশি না হয়, তা বিনিয়োগকারী ব্যাংককেই নিশ্চিত করতে হবে।

৫. অতালিকাভুক্ত সুকুকে বিনিয়োগের পূর্বে সাবস্ক্রিপশন ক্লোজিং এর তারিখ হতে ১ বছরের মধ্যে তালিকাভুক্তির বিষয়ে ট্রাস্টি, এসপিভি, ইস্যুয়ার এবং বিনিয়োগকারী ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা সাক্ষর হবে।

বিজনেস আওয়ার/২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শেয়ারবাজারের বিশেষ তহবিলের অর্থ গ্রীন সুকুক বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে অর্থ সরবরাহ বাড়ানোর জন্য ব্যাংকের বিশেষ তহবিলের ২০০ কোটি টাকা গ্রীন সুকুক বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ করে সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন ‘শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিশেষ তহবিল গঠন এবং বিনিয়োগের নীতিমালা’ সংশোধন করে এই সার্কুলার জারি করেছে।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের সম্পূর্ণ অংশ (লভ্যতা অনুসারে) ন্যূনতম ৭০ শতাংশ সৌর বিদ্যুৎ, বায়ুশক্তি চালিত বিদ্যুৎ, জল বিদ্যুৎ, বায়োমাস ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগের উদ্দেশে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ইস্যু করা তালিকাভুক্ত বা সাবস্ক্রিপশন ক্লোজিংয়ের তারিখ থেকে ১ বছরের মধ্যে তালিকাভুক্ত হবে, এমন ১০০ শতাংশ অ্যাসেট ব্যাকড গ্রীন সুকুকে বিনিয়োগ করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে।

১. পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ মার্জিনে ঋণপত্র খুলতে হবে।
২. পণ্য ১২০ দিনের মধ্যে জাহাজীকরণ বা সরবরাহ করার শর্ত থাকতে হবে।
৩. সব ধরনের স্থানীয় ব্যয়, যদি থাকে তাহলে ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
৪. প্রকল্প উন্নয়নে সর্বোচ্চ ৮ মাস সময় বরাদ্দ থাকতে পারে।

আরও পড়ুন……
বেক্সিমকোর সুকুকে সময় বাড়ানো হলেও আবেদন জমা পড়েনি

এরপরে ২য় দফায় বেক্সিমকোর বন্ডে ১ মাস বাড়ানো সময়ও এখন শেষের পথে

অন্যান্য শর্তগুলো হচ্ছে-

১. সুকুকের তহবিল ‘স্পেশাল পার্পাস ভেহিকেল’ বা এসপিভি নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে। ওই ব্যাংক হিসাব থেকে সুকুকের জন্য নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট ব্যয় ব্যতীত অন্য কোন খাতে খরচ বা কর্জ প্রদান করা যাবে না।

২. প্রাইভেট প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে কোনো কারণে বিএসইসির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুকুকের সাবস্ক্রিপশন সম্পূর্ণ না হলে বা সুকুক ইস্যুর বিষয়টি বাতিল হলে সংশ্লিষ্ট এসপিভির মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যে বিনিয়োগকারী ব্যাংক হিসাবে সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে হবে। এ বিষয়ে সুকুকের ট্রাস্টি এসপিভি এবং বিনিয়োগকারী ব্যাংকের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করতে হবে।

৩. সেকেন্ডারি মার্কেট বা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বা উভয় প্রকারে কোনো সুকুকের মোট ইস্যুর ১০ শতাংশের বেশি পরিমাণ কোনো ব্যাংক বিনিয়োগ করতে পারবে না।

৪. রূপান্তরযোগ্য সুকুকের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের পর ইক্যুয়িটি ধারণ যাতে ১০ শতাংশের বেশি না হয়, তা বিনিয়োগকারী ব্যাংককেই নিশ্চিত করতে হবে।

৫. অতালিকাভুক্ত সুকুকে বিনিয়োগের পূর্বে সাবস্ক্রিপশন ক্লোজিং এর তারিখ হতে ১ বছরের মধ্যে তালিকাভুক্তির বিষয়ে ট্রাস্টি, এসপিভি, ইস্যুয়ার এবং বিনিয়োগকারী ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা সাক্ষর হবে।

বিজনেস আওয়ার/২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: