বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগের পরিবেশ খুবই ভালো। যে বাজারের মূল্য-আয় অনুপাত (পি/ই) অনেক কম এবং উচ্চ বাজার মূলধনের সম্ভাবনা রয়েছে। যে বাজারটি করোনা ভাইরাসের মধ্যেও গত বছর এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মুনাফা দিয়েছে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুইদিনব্যাপি আয়োজিত “2nd Global Business Summit Dubai 2021” এর প্রথমদিন দুবাইয়ের ক্রাউন প্লাজা হোটেলে তিনি এ কথা জানান।
শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার প্রবাসি বাংলাদেশীদেরকে নিটা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য অর্থ লেনদেন কোন রকম ব্যয় ছাড়াই করার সুযোগ করে দিয়েছে। এখন আমরা শেয়ারবাজারকে ডিজিটালি পরিচালনা করি। যাতে করে প্রবাসিদের অংশগ্রহন সহজ করতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ডিজিটাল বুথ খোলা হচ্ছে। এছাড়া ডিজিটাল বিও এর মাধ্যমে সবাই সহজেই যার যার ঘরে বসেই হিসাব খুলতে পারছেন।
এই পরিস্থিতিতে প্রবাসিদেরকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে অংশগ্রহনের আহবান করেন সামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের মাতৃভূমি আপনাদের অংশগ্রহনের জন্য অপক্ষো করছে। তারপরে দেখেন আমরা কিভাবে একসাথে কাজ করি ও প্রবাসিদের স্বপ্ন পূরন করি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। ওই সময় দারিদ্রতা ছাড়া কিছুই ছিল না। তবে সেই দারিদ্রতা এখন ১০.৫% নেমে এসেছে। এছাড়া বিদেশী অনুদান নির্ভরশীলতা ৯৮% থেকে ২.৯০%, গড় আয়ুস্কাল ৪৬ থেকে ৭৩ বছরে হয়েছে। আর গত ১০ বছর ধরে জিডিপি ৬.৫% এর বেশি হারে বাড়ছে। এমনকি করোনার সময় জিডিপি বেড়েছে ৩.৬০% হারে। যা আমাদের দক্ষতাকে জানান দেয়। এছাড়া আমাদের কাছে রয়েছে ২৪.৮০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স।
তিনি বলেন, প্রবাসি বাংলাদেশীরা সবসময় দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। আমাদের ৯ মাসের আমাদানির চাহিদা মেটাতে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ফরেক্স রিজার্ভ রয়েছে। এজন্য প্রবাসিরা বিশেষভাবে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, এখন আমরা ২০৩৫ সালের মধ্যে বৃহৎ ২৫টি অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে একটি হতে চাই। যাতে আমাদের আরও বেশি করে এফডিআই এবং অন্যান্য বিনিয়োগ দরকার। আমাদের জীবনধারনের জন্য এখন ছোট ছোট বিনিয়োগের দরকার নেই। যে সমস্যা বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে সমাধান করে ফেলেছে। আমাদের মেগা প্রকল্পের জন্য বড় বিনিয়োগ দরকার। এক্ষেত্রে প্রবাসিরা পোর্টস, ব্রিজ, টানেল, টার্মিনাল ইত্যাদি নির্মাণে বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার কাঠামোগত উন্নয়নে ৪০ বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে। যা দিয়ে ১০০টি ইকোনোমিক জোন ও ৩৯টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
যুবক জনগোষ্ঠী ছাড়াও পর্যাপ্ত ইলেকট্রিসিটি, ফরেক্স রিস্ক কম, ব্যতিক্রম টেক্স, বিভিন্ন প্রণোদনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শতভাগ বিদেশী মালিকানার কোম্পানি করারও সুযোগ দিচ্ছি। আমাদের রাজনৈতিক অবস্থাও রয়েছে স্থিতিশীল। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের পূণরায় বিনিয়োগ করে দেশকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করার জন্য আহবান করেন তিনি।
বিজনেস আওয়ার/৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১/আরএ