ঢাকা , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেক্সিমকোর সুকুকে আন্ডাররাইটার অগ্রনী ইক্যুইটিকে নিতে হবে ১০০ কোটি টাকার

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
  • 56

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার থেকে পাবলিক অফারে অর্থ উত্তোলনে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো) ৭৫০ কোটি টাকার সুকুক বন্ডের পাবলিক অফারে প্রায় ৪২২ কোটি টাকার বা ৫৬ শতাংশ আবেদন জমা পড়েছে। এরমধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা ৮% এবং বাকি ৪৮% সাধারন বিনিয়োগকারীরা আবেদন করেছেন। এখনো ঘাটতি ৪৪%। এই ঘাটতির কারনে ২০% আন্ডাররাইটিং করা বা কিনে নেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া ৩ প্রতিষ্ঠানকে বন্ডটিতে ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।

কোম্পানিটির সাবস্ক্রিপশনে দুই দফায় বৃদ্ধি করা সময় শেষে মোট ৪২২ কোটি টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এরমধ্যে ডিএসইর নিবন্ধনকৃত যোগ্য বিনিয়োগকারীরা ইএসএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে ৬০ কোটি ৬৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বা ৮.০৮৬% আবেদন জমা করেছে। বাকি প্রায় ৩৬১ কোটি টাকার আবেদন করা হয়েছে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে।

তবে বন্ডটিতে আন্ডাররাইটিং করা ছিল ২০ শতাংশ বা ১৫০ কোটি টাকার। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ১০০ কোটি টাকার আন্ডাররাইটিংয়ের দায়িত্ব নেয় সরকারি মার্চেন্ট ব্যাংক অগ্রনী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। এছাড়া এআইবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও এবি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট ২৫ কোটি টাকার করে মোট ৫০ কোটির আন্ডাররাইটিং করে। এখন বন্ডটিতে চাহিদার কম আবেদন জমা পড়ায়, আন্ডাররাইটার প্রতিষ্ঠান ৩টিকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৫০ কোটি টাকার সাবস্ক্রাইব করতে হবে।

বেক্সিমকোর মোট ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ডের মধ্যে পাবলিক অফারে ৭৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য গত ১৬ আগস্ট চাদাঁ সংগ্রহ শুরু করে। যার জন্য প্রথম দফায় নির্ধারিত সর্বশেষ সময় ছিল ২৩ আগস্টের বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। এরপরে প্রথম দফায় বেক্সিমকো সাবস্ক্রিপশনের সময় ১০ কার্যদিবস বাড়িয়ে ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত করা হয়েছিল। আরেক দফায় ২৪ দিন সময় বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে পর্যন্ত করা হয়।

এই পাবলিক অফারটিতে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ আবেদন জমা পড়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। যা প্রথম দুই দফায় জমা না পড়ায় ৩য় দফায় কমিশন নিজ ক্ষমতা বলে সময় বাড়িয়েছিল। একইসঙ্গে ৩০ শতাংশ আবেদন জমা না পড়লে অফারটি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছিল।

উল্লেখ্য বেক্সিমকোর প্রস্তাবিত গ্রিন সুকুকটির আকার ৩ হাজার কোটি টাকার। এরমধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা আইপিওতে উত্তোলনের জন্য বরাদ্দ। বাকি ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকার প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। এরমধ্যে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের থেকে ৭৫০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য বরাদ্দ।

গত ২৩ জুন কতিপয় শর্তসাপেক্ষে বিএসইসি বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার ৫ বছর মেয়াদী সিকিউরড কনভার্টেবল অথবা রিডেম্বল অ্যাসেট ব্যাকড গ্রিন সুকুক এর প্রস্তাব প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।

এই সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করে বেক্সিমকো লিমিটেডের টেক্সটাইল ইউনিটের কার্যক্রম বর্ধীতকরণ এবং বেক্সিমকো দুটি সরকার অনুমোদিত সাবসিডিয়ারি নবায়ন যোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের (তিস্তা সোলার লিমিটেড এবং করতোয়া সোলার লিমিটেড) বাস্তবায়নের পাশাপাশি পরিবেশ উন্নয়ন এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে চায়।

এই সুকুকের প্রতি ইউনিটে অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা। সুকুকটির নূন্যতম সাবস্কিপশন ৫ হাজার টাকা ও নূন্যতম লট ৫০টি। সুকুকটির সর্বনিন্ম প্রিয়ডিক ডিস্ট্রিবিউশন রেট ৯ শতাংশ।

সুকুকটির ট্রাস্টি হিসেবে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে যথাক্রমে সিটি ব্যংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস ও অগ্রণী ইক্যুইটি এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাজ করছে।

বিজনেস আওয়ার/০৬ অক্টোবর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বেক্সিমকোর সুকুকে আন্ডাররাইটার অগ্রনী ইক্যুইটিকে নিতে হবে ১০০ কোটি টাকার

পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার থেকে পাবলিক অফারে অর্থ উত্তোলনে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো) ৭৫০ কোটি টাকার সুকুক বন্ডের পাবলিক অফারে প্রায় ৪২২ কোটি টাকার বা ৫৬ শতাংশ আবেদন জমা পড়েছে। এরমধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা ৮% এবং বাকি ৪৮% সাধারন বিনিয়োগকারীরা আবেদন করেছেন। এখনো ঘাটতি ৪৪%। এই ঘাটতির কারনে ২০% আন্ডাররাইটিং করা বা কিনে নেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া ৩ প্রতিষ্ঠানকে বন্ডটিতে ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।

কোম্পানিটির সাবস্ক্রিপশনে দুই দফায় বৃদ্ধি করা সময় শেষে মোট ৪২২ কোটি টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এরমধ্যে ডিএসইর নিবন্ধনকৃত যোগ্য বিনিয়োগকারীরা ইএসএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে ৬০ কোটি ৬৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বা ৮.০৮৬% আবেদন জমা করেছে। বাকি প্রায় ৩৬১ কোটি টাকার আবেদন করা হয়েছে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে।

তবে বন্ডটিতে আন্ডাররাইটিং করা ছিল ২০ শতাংশ বা ১৫০ কোটি টাকার। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ১০০ কোটি টাকার আন্ডাররাইটিংয়ের দায়িত্ব নেয় সরকারি মার্চেন্ট ব্যাংক অগ্রনী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। এছাড়া এআইবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও এবি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট ২৫ কোটি টাকার করে মোট ৫০ কোটির আন্ডাররাইটিং করে। এখন বন্ডটিতে চাহিদার কম আবেদন জমা পড়ায়, আন্ডাররাইটার প্রতিষ্ঠান ৩টিকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৫০ কোটি টাকার সাবস্ক্রাইব করতে হবে।

বেক্সিমকোর মোট ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ডের মধ্যে পাবলিক অফারে ৭৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য গত ১৬ আগস্ট চাদাঁ সংগ্রহ শুরু করে। যার জন্য প্রথম দফায় নির্ধারিত সর্বশেষ সময় ছিল ২৩ আগস্টের বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। এরপরে প্রথম দফায় বেক্সিমকো সাবস্ক্রিপশনের সময় ১০ কার্যদিবস বাড়িয়ে ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত করা হয়েছিল। আরেক দফায় ২৪ দিন সময় বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে পর্যন্ত করা হয়।

এই পাবলিক অফারটিতে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ আবেদন জমা পড়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। যা প্রথম দুই দফায় জমা না পড়ায় ৩য় দফায় কমিশন নিজ ক্ষমতা বলে সময় বাড়িয়েছিল। একইসঙ্গে ৩০ শতাংশ আবেদন জমা না পড়লে অফারটি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছিল।

উল্লেখ্য বেক্সিমকোর প্রস্তাবিত গ্রিন সুকুকটির আকার ৩ হাজার কোটি টাকার। এরমধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা আইপিওতে উত্তোলনের জন্য বরাদ্দ। বাকি ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকার প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। এরমধ্যে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের থেকে ৭৫০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য বরাদ্দ।

গত ২৩ জুন কতিপয় শর্তসাপেক্ষে বিএসইসি বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার ৫ বছর মেয়াদী সিকিউরড কনভার্টেবল অথবা রিডেম্বল অ্যাসেট ব্যাকড গ্রিন সুকুক এর প্রস্তাব প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।

এই সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করে বেক্সিমকো লিমিটেডের টেক্সটাইল ইউনিটের কার্যক্রম বর্ধীতকরণ এবং বেক্সিমকো দুটি সরকার অনুমোদিত সাবসিডিয়ারি নবায়ন যোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের (তিস্তা সোলার লিমিটেড এবং করতোয়া সোলার লিমিটেড) বাস্তবায়নের পাশাপাশি পরিবেশ উন্নয়ন এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে চায়।

এই সুকুকের প্রতি ইউনিটে অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা। সুকুকটির নূন্যতম সাবস্কিপশন ৫ হাজার টাকা ও নূন্যতম লট ৫০টি। সুকুকটির সর্বনিন্ম প্রিয়ডিক ডিস্ট্রিবিউশন রেট ৯ শতাংশ।

সুকুকটির ট্রাস্টি হিসেবে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে যথাক্রমে সিটি ব্যংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস ও অগ্রণী ইক্যুইটি এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাজ করছে।

বিজনেস আওয়ার/০৬ অক্টোবর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: