ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিউচ্যুয়াল ফান্ড ভালো করছে, এগিয়ে নিতে চাই অনেক দূর

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১
  • 43

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ড অনেক ভালো পারফরমেন্স করছে। এতে আমরা খুশি। আমরা এই খাতটিকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে চাই। এক্ষেত্রে আমরা সেবক হিসেবে যত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার, তার সব দিতে চাই। এই মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে অনেক অনেক বড় দেখতে চাই।

শনিবার (০৯ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষ্যে অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডসের (এএএমসিএমএফ) আয়োজিত “ইন্সটিটিউশনাল রোল ইন সাসটেইনেবল ফাইনান্সিং” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এএএমসিএমএফের সভাপতি ড. হাসান ইমাম। সঞ্চালনায় ছিলেন একাশিয়ার প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা অরুনাষ্ণু দত্ত।

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ড. মিজানের ভাষ্য অনুযায়ি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আকার মাত্র ১৫ হাজার কোটি টাকা। এতো ছোট কেনো হবে। সবাইকে এই ১৫ হাজার কোটির আকারকে কিভাবে দেড় লাখ কোটিতে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আপনারা আমাদের কে বলেন, কি করতে হবে, কোথায় সমস্যা। আমরা আপনাদেরকে আইনগতভাবে সব সহযোগিতা করব। কেনো আপনারা বলছেন না, ফান্ডের আকার বাড়ানো দরকার। কোথায় বাধা আছে, তা জানান।

তিনি বলেন, যারা ভালো পারফরমেন্স করছে, তাদেরকে উৎসাহিত করব। কিন্তু যারা পারফরমেন্স করছে না, তাদেরকে কেনো এতো উচ্চ ফি নিতে দেব।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ভূমিকা। এই বাজারের স্ট্যাবলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতো দক্ষ ও শিক্ষিত জনবল আর কোথাও পাওয়া যায় না। এ কারনে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের দায়িত্বরতদের প্রতি আমাদের আকাঙ্খা অনেক। আপনাদের (মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত) বুদ্ধিমত্তা ও বিবেচনাকে কাজিয়ে লাগিয়ে শেয়ারবাজার নিয়ে যে ভয়, শঙ্কা ও বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়, এখন থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অনেক কিছু করার আছে।

আরও পড়ুন….
তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর ৪২৬ কোটি টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রচার না থাকাকে সবচেয়ে বড় সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই খাতের কোন প্রচার নেই। ব্যক্তিগতভাবে প্রতিদিন কমপক্ষে ২জন লোক ফোন করে কোন মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করবে তা জানতে চায়। যেখানে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সকল শ্রেণীর মানুষ ফোন করে। তারা কোন ফান্ডে বিনিয়োগ করবে, তা জানতে চায়। এছাড়া কেমন রিটার্ন দেয়, তা জানতে চায়।

তিনি বলেন, এ বছর ফান্ডগুলো অনেক ভালো রিটার্ন দিয়েছে। তারা অনেক ভালো করছে। যাতে আমরা খুশি। আমরা চাচ্ছি এই খাতটি উন্নতি করার যে সঠিক সময় যাচ্ছে, সেই সুযোগটি নিতে।

তিনি আরও বলেন, ফান্ডগুলোর যদি প্রচারণায় অনেক খরচ মনে করেন, তাহলে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে করেন। আমিতো যখনই আইপিএলের খেলা দেখতে বসি, তখনই ওই দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিজ্ঞাপন দেখি। তার মানে ওরা ফান্ড জনপ্রিয় করেছে। ওদের ফান্ডের আকার অনেক বড়। তো আমাদের ফান্ডগুলোকেও এখনই করতে বড় করতে প্রচারনায় নামতে হবে। একইসঙ্গে কোন নেতিবাচক বা সন্দেহ থাকলে, তা দূর করতে হবে। এছাড়া কারও কোন প্রশ্ন থাকলে, তার উত্তর দিতে হবে।

ছোট বেলায় শুনা ‘একতাই বল’ মনে করে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, সেটা কিন্তু এখনো পরিবর্তন হয়নি। অতএব সবাইকে এক থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। কাজ করতে গেলে এমন হয়। তবে কথা বলে তা সমাধান করে নিতে হবে। এক থাকতে হবে। এরমাধ্যমে ফান্ড খাতকে বড় বিনিয়োগ আকারে নিয়ে আসতে চাই। তখনই আপনাদের আজকের আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। আপনারা সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরেক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহেও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত নিয়ে কমিশন সভায় বসেছিল। কিভাবে এই খাতকে সহযোগিতা ও দশগুণ আকার করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতেই বসেছিল। তাই আশা করব আপনাদের কি সহযোগিতা দরকার, তা বলবেন।

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলিকে উদ্দেশ্য করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, অনেকগুলো ব্যাংকের সুযোগ থাকলেও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে না। তাই আপনার (আরফান আলি) ব্যাংকিং খাতের সহকর্মীদেরকে এই খাতে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করার অনুরোধ করব। এই খাত এই বছর গড়ে সবাই ১০ শতাংশের উপরে রিটার্ন দিয়েছে।

তিনি বলেন, অর্থনীতি কিন্তু সবার। আমরা শেয়ারবাজারে প্রতিদিন যে ২-৩ হাজার কোটি টাকা লেনদেন করি। সব টাকা কিন্তু ব্যাংকের চলে যায়। সুতরাং শেয়ারবাজার যত বড়ই হোক না কেনো, টাকা পয়সা সব আপনাদের (আরফান আলি) কাছে থাকে। আপনাদের মাধ্যমেই টাকা পয়সা লেনদেন হয়। সুতরাং শেয়ারবাজার বড় হয়ে গেলে মানি মার্কেটের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, এটা যেনো কেউ কখনো মনে না করে। বরং শেয়ারবাজার যত বড় হবে, ফিসহ নানাভাবে ব্যাংকের তত আয় বাড়বে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বন্ডে সাপোর্ট দেওয়া নিয়ে রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন শেয়ারবাজার থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব দেওয়া হয়, তা ১০০ গুণ বেড়ে যাবে। এজন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বন্ডে সহযোগিতা করা দরকার। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান সম্মতি জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলি শেয়ারবাজারের উন্নয়নে এনবিএফআই ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন বলে জানান।

বিজনেস আওয়ার/০৯ অক্টোবর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

One thought on “মিউচ্যুয়াল ফান্ড ভালো করছে, এগিয়ে নিতে চাই অনেক দূর

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মিউচ্যুয়াল ফান্ড ভালো করছে, এগিয়ে নিতে চাই অনেক দূর

পোস্ট হয়েছে : ০২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ড অনেক ভালো পারফরমেন্স করছে। এতে আমরা খুশি। আমরা এই খাতটিকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে চাই। এক্ষেত্রে আমরা সেবক হিসেবে যত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার, তার সব দিতে চাই। এই মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে অনেক অনেক বড় দেখতে চাই।

শনিবার (০৯ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষ্যে অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডসের (এএএমসিএমএফ) আয়োজিত “ইন্সটিটিউশনাল রোল ইন সাসটেইনেবল ফাইনান্সিং” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এএএমসিএমএফের সভাপতি ড. হাসান ইমাম। সঞ্চালনায় ছিলেন একাশিয়ার প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা অরুনাষ্ণু দত্ত।

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ড. মিজানের ভাষ্য অনুযায়ি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আকার মাত্র ১৫ হাজার কোটি টাকা। এতো ছোট কেনো হবে। সবাইকে এই ১৫ হাজার কোটির আকারকে কিভাবে দেড় লাখ কোটিতে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আপনারা আমাদের কে বলেন, কি করতে হবে, কোথায় সমস্যা। আমরা আপনাদেরকে আইনগতভাবে সব সহযোগিতা করব। কেনো আপনারা বলছেন না, ফান্ডের আকার বাড়ানো দরকার। কোথায় বাধা আছে, তা জানান।

তিনি বলেন, যারা ভালো পারফরমেন্স করছে, তাদেরকে উৎসাহিত করব। কিন্তু যারা পারফরমেন্স করছে না, তাদেরকে কেনো এতো উচ্চ ফি নিতে দেব।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ভূমিকা। এই বাজারের স্ট্যাবলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতো দক্ষ ও শিক্ষিত জনবল আর কোথাও পাওয়া যায় না। এ কারনে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের দায়িত্বরতদের প্রতি আমাদের আকাঙ্খা অনেক। আপনাদের (মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত) বুদ্ধিমত্তা ও বিবেচনাকে কাজিয়ে লাগিয়ে শেয়ারবাজার নিয়ে যে ভয়, শঙ্কা ও বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়, এখন থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অনেক কিছু করার আছে।

আরও পড়ুন….
তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর ৪২৬ কোটি টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রচার না থাকাকে সবচেয়ে বড় সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই খাতের কোন প্রচার নেই। ব্যক্তিগতভাবে প্রতিদিন কমপক্ষে ২জন লোক ফোন করে কোন মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করবে তা জানতে চায়। যেখানে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সকল শ্রেণীর মানুষ ফোন করে। তারা কোন ফান্ডে বিনিয়োগ করবে, তা জানতে চায়। এছাড়া কেমন রিটার্ন দেয়, তা জানতে চায়।

তিনি বলেন, এ বছর ফান্ডগুলো অনেক ভালো রিটার্ন দিয়েছে। তারা অনেক ভালো করছে। যাতে আমরা খুশি। আমরা চাচ্ছি এই খাতটি উন্নতি করার যে সঠিক সময় যাচ্ছে, সেই সুযোগটি নিতে।

তিনি আরও বলেন, ফান্ডগুলোর যদি প্রচারণায় অনেক খরচ মনে করেন, তাহলে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে করেন। আমিতো যখনই আইপিএলের খেলা দেখতে বসি, তখনই ওই দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিজ্ঞাপন দেখি। তার মানে ওরা ফান্ড জনপ্রিয় করেছে। ওদের ফান্ডের আকার অনেক বড়। তো আমাদের ফান্ডগুলোকেও এখনই করতে বড় করতে প্রচারনায় নামতে হবে। একইসঙ্গে কোন নেতিবাচক বা সন্দেহ থাকলে, তা দূর করতে হবে। এছাড়া কারও কোন প্রশ্ন থাকলে, তার উত্তর দিতে হবে।

ছোট বেলায় শুনা ‘একতাই বল’ মনে করে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, সেটা কিন্তু এখনো পরিবর্তন হয়নি। অতএব সবাইকে এক থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। কাজ করতে গেলে এমন হয়। তবে কথা বলে তা সমাধান করে নিতে হবে। এক থাকতে হবে। এরমাধ্যমে ফান্ড খাতকে বড় বিনিয়োগ আকারে নিয়ে আসতে চাই। তখনই আপনাদের আজকের আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। আপনারা সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরেক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহেও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত নিয়ে কমিশন সভায় বসেছিল। কিভাবে এই খাতকে সহযোগিতা ও দশগুণ আকার করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতেই বসেছিল। তাই আশা করব আপনাদের কি সহযোগিতা দরকার, তা বলবেন।

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলিকে উদ্দেশ্য করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, অনেকগুলো ব্যাংকের সুযোগ থাকলেও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে না। তাই আপনার (আরফান আলি) ব্যাংকিং খাতের সহকর্মীদেরকে এই খাতে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করার অনুরোধ করব। এই খাত এই বছর গড়ে সবাই ১০ শতাংশের উপরে রিটার্ন দিয়েছে।

তিনি বলেন, অর্থনীতি কিন্তু সবার। আমরা শেয়ারবাজারে প্রতিদিন যে ২-৩ হাজার কোটি টাকা লেনদেন করি। সব টাকা কিন্তু ব্যাংকের চলে যায়। সুতরাং শেয়ারবাজার যত বড়ই হোক না কেনো, টাকা পয়সা সব আপনাদের (আরফান আলি) কাছে থাকে। আপনাদের মাধ্যমেই টাকা পয়সা লেনদেন হয়। সুতরাং শেয়ারবাজার বড় হয়ে গেলে মানি মার্কেটের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, এটা যেনো কেউ কখনো মনে না করে। বরং শেয়ারবাজার যত বড় হবে, ফিসহ নানাভাবে ব্যাংকের তত আয় বাড়বে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বন্ডে সাপোর্ট দেওয়া নিয়ে রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন শেয়ারবাজার থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব দেওয়া হয়, তা ১০০ গুণ বেড়ে যাবে। এজন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বন্ডে সহযোগিতা করা দরকার। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান সম্মতি জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলি শেয়ারবাজারের উন্নয়নে এনবিএফআই ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন বলে জানান।

বিজনেস আওয়ার/০৯ অক্টোবর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: