ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইভ্যালি পরিচালনায় চার সদস্যের বোর্ড গঠন

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • 53

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি লিমিটেড পরিচালনায় চার সদস্যের বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই বোর্ড সদস্যদের নাম ঘোষণা করে আদেশ দেন।

আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের অপর সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান (স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগ), চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে ফখরুদ্দিন আহমেদ এবং আইনজীবী হিসেবে খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ থাকবেন। আর সরকারি বেতনে এক্স অফিসিও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে থাকবেন অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) মাহবুবুল কবির।

১২ অক্টোবর মামলার শুনানিতে আদালত বলেছিলেন, বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় চারজনের বোর্ড হতে পারে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সচিব, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসহ চারজনকে বোর্ডে রাখা যেতে পারে।

সেদিন আদালত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইনজীবীকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা বলে বর্তমান বা সাবেক সচিব, অতিরিক্ত সচিব—এমন তিনজনের নাম দিতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় ১৩ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবিত সাবেক তিন সচিবের নাম আদালতে দাখিল করেন তাদের আইনজীবী।

শুনানি নিয়ে ১৩ অক্টোবর হাইকোর্ট আদেশের জন্য ১৮ অক্টোবর (আজ) তারিখ রাখেন। সে অনুসারে আজ মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে। চেয়ারম্যানসহ চার সদস্যের বোর্ড গঠন করে দিয়ে আদালত বলেন, হাইকোর্টের আদেশে পাওয়ার পরপরই তাঁরা (সদস্য) বোর্ড মিটিংয়ে বসবেন। তাঁরা সবকিছু বুঝে নেবেন, কোথায় কী আছে। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। তাদের (বোর্ড) দায়িত্ব হলো টাকাগুলো কোথায় আছে, কোথায় দায় আছে, তা দেখা।

আদালত আরও বলেন, কোম্পানি কোর্টের কাজ হলো যদি দেখা যায়, কোনো একটি মিটিং করা সম্ভব হচ্ছে না, তখন কোম্পানি কোর্টের স্যুয়োমটো ক্ষমতা আছে। আদালত বোর্ড গঠন করে দিতে পারেন। এখন এই বোর্ড গঠন করে দেওয়া হলো। তারা (বোর্ড) বসে বিষয়গুলো দেখবে। অডিট লাগবে, তারা অন্য কাজগুলো দেখবে। এরপর সবকিছু করার পর বোর্ড যদি দেখে কোম্পানিটি চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রসিড করবে। কোম্পানি অবসায়ন চেয়ে আবেদনকারী আবেদন করেছে। তখন আবেদনকারীর সঙ্গে বোর্ডও বলবে, কোম্পানিটি অবসায়ন করতে হবে। আর যদি বলে চালানো সম্ভব, তাহলে কোম্পানিটি চলবে। আদালত খোলার (২০ অক্টোবর) এক মাস পর পরবর্তী দিন রাখা হচ্ছে। ৩০ তারিখের পর বোর্ড প্রথম বোর্ড মিটিং করে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেবে।

বিজনেস আওয়ার/১৮ অক্টোবর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ইভ্যালি পরিচালনায় চার সদস্যের বোর্ড গঠন

পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি লিমিটেড পরিচালনায় চার সদস্যের বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই বোর্ড সদস্যদের নাম ঘোষণা করে আদেশ দেন।

আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের অপর সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান (স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগ), চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে ফখরুদ্দিন আহমেদ এবং আইনজীবী হিসেবে খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ থাকবেন। আর সরকারি বেতনে এক্স অফিসিও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে থাকবেন অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) মাহবুবুল কবির।

১২ অক্টোবর মামলার শুনানিতে আদালত বলেছিলেন, বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় চারজনের বোর্ড হতে পারে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সচিব, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসহ চারজনকে বোর্ডে রাখা যেতে পারে।

সেদিন আদালত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইনজীবীকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা বলে বর্তমান বা সাবেক সচিব, অতিরিক্ত সচিব—এমন তিনজনের নাম দিতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় ১৩ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবিত সাবেক তিন সচিবের নাম আদালতে দাখিল করেন তাদের আইনজীবী।

শুনানি নিয়ে ১৩ অক্টোবর হাইকোর্ট আদেশের জন্য ১৮ অক্টোবর (আজ) তারিখ রাখেন। সে অনুসারে আজ মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে। চেয়ারম্যানসহ চার সদস্যের বোর্ড গঠন করে দিয়ে আদালত বলেন, হাইকোর্টের আদেশে পাওয়ার পরপরই তাঁরা (সদস্য) বোর্ড মিটিংয়ে বসবেন। তাঁরা সবকিছু বুঝে নেবেন, কোথায় কী আছে। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। তাদের (বোর্ড) দায়িত্ব হলো টাকাগুলো কোথায় আছে, কোথায় দায় আছে, তা দেখা।

আদালত আরও বলেন, কোম্পানি কোর্টের কাজ হলো যদি দেখা যায়, কোনো একটি মিটিং করা সম্ভব হচ্ছে না, তখন কোম্পানি কোর্টের স্যুয়োমটো ক্ষমতা আছে। আদালত বোর্ড গঠন করে দিতে পারেন। এখন এই বোর্ড গঠন করে দেওয়া হলো। তারা (বোর্ড) বসে বিষয়গুলো দেখবে। অডিট লাগবে, তারা অন্য কাজগুলো দেখবে। এরপর সবকিছু করার পর বোর্ড যদি দেখে কোম্পানিটি চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রসিড করবে। কোম্পানি অবসায়ন চেয়ে আবেদনকারী আবেদন করেছে। তখন আবেদনকারীর সঙ্গে বোর্ডও বলবে, কোম্পানিটি অবসায়ন করতে হবে। আর যদি বলে চালানো সম্ভব, তাহলে কোম্পানিটি চলবে। আদালত খোলার (২০ অক্টোবর) এক মাস পর পরবর্তী দিন রাখা হচ্ছে। ৩০ তারিখের পর বোর্ড প্রথম বোর্ড মিটিং করে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেবে।

বিজনেস আওয়ার/১৮ অক্টোবর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: