জার্মান ক্লাব লাইপজিগের বিপক্ষে দলের অন্য দুই তারকা লিওনেল মেসি এবং কাইলিয়ান এমবাপের নৈপুণ্যে ৩-২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফরাসি ক্লাব পিএসজি।।
মঙ্গলবার রাতে পার্ক দে প্রিন্সেসে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ম্যাচের প্রথম গোলটিও স্বাগতিকদের। জুলিয়ান ড্রাক্সলারের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকেই নেয়া দারুণ শটে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপে।
এমবাপের গোলের পর খেই হারায় পিএসজি। ছন্নছাড়া ফুটবল খেলতে থাকে দলটির ফুটবলাররা। মলিন ছিলেন মেসিও। সেই সুযোগটা লুফে নেয় লাইপজিগ। ২৭ মিনিটে ক্লাবটির পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড আন্দ্রে সিলভা বাঁ-প্রান্ত থেকে আসা অ্যাঞ্জেলিনোর মাটি ঘেঁষা ক্রস দারুণ প্লেসমেন্টে জড়ান জালে।
সিলভার গোলে সমতায় ফেরার পর দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজিকে ভড়কে দেন নর্দি মুকিয়েলে। এবারো বাঁ-প্রান্ত থেকে সেই অ্যাঞ্জেলিনোর ক্রস, তবে বল এলো উড়ে। উড়ন্ত সেই বলকে জালে পাঠানোর কাজটি করলেন মুকিয়েলে। ৫৭ মিনিটে ভলি শটে পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার।
২-১ গোলে পিছিয়ে পড়া পিএসজিকে হার যখন উঁকি দিচ্ছিল, তখনই জেগে উঠলেন মেসি। আক্রমণভাগে তার রসায়ন জমে উঠল এমবাপের সঙ্গে। ৬৭ মিনিটে পিসজিকে সমতায় ফেরানো গোলটি আসে এ মৌসুমে পিএসজিতে যোগ দেয়া মেসির পা থেকে।
ডি বক্সে এমবাপের উদ্দেশ্যে প্রথমে বলটা মেসিই বাড়ান। তবে তিনি শট না নিয়ে সেই বল আবার দেন মেসিকে। এই আর্জেন্টাইন আর সময়ক্ষেপণ না করে জাদুকরী বাঁ পায়ে নেন শট। প্রথম শটে অবশ্য বল পোস্টে লেগে গোললাইনের কাছে ঘুরতে থাকে। সেই বল লাইপজিগের কেউ ক্লিয়ার করার আগেই মেসি ফিরতে শটে পাঠান জালে।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে এমবাপের গতির সঙ্গে পেরে না উঠে তাকে হাত দিয়ে অবৈধভাবে ডি বক্সে ফেলে দেন মোহামেদ সিমাকান। পেনাল্টি পায় পিএসজি। এমবাপে মাঠে থাকলেও, পেনাল্টি নেন মেসিই। খুঁজে নেন জালও। পেনাল্টি থেকে তার গোলটাও ছিল দেখার মতো।
বিজনেস আওয়ার/২০ অক্টোবর, ২০২১/কমা