বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যে যেই প্রতিষ্ঠানেরই হোক না কেনো, অন্যায় করলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবো। আমিও যদি অন্যায় করি আমাকেও জবাবদিহিতা করতে হবে। এটাই সোজা হিসাব।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনারা জানেন সম্পদের হস্থান্তর এখানে অত্যান্ত স্বাভাবিক। একটু ধৈর্য ধরেন, আপনারা যদি ইমপ্যাশেন্ট হয়ে যান তাহলে তো মুস্কিল হয়ে যাবে। এটা শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীরা না, যারা প্রতিষ্ঠানিক আছেন তাদেরও একটা গুরুত্বপূর্ণ আচরণ শো করতে হবে। তারাও আট-দশ জনের মত সেলস যেন বুঝে শুনে করেন। এখন হচ্ছে যে আমরা আমাদের মত অনেক কিছু করি কিন্তু দেখেন যে আমরা গত দেড় বছরে ৫২ টা ট্রেক পারমিশন দিয়েছি। কি কারনে দিয়েছি, কারন মানুষ যেনো এখানে আরো যুক্ত হয়ে বিনয়োগ করেন।
গুজবের বিষয়ে তিনি বলেন, গুজবের জন্য আমরা একটা মনিটরিং সেলস গঠন করছি। আসলে সব কিছুই ওভার টাইম হচ্ছে, এখন কিছু কিছু সময় যদি মার্কেটে একটা কারেকশন হয় বা এখানে কেউ যদি কিছু শেয়ার বিক্রি করতে চায় সেটা করতেই পারে। আর কিছু কিছু দায়িত্বে অবহেলা থাকে সেই দায়িত্বে অবহেলাকে চিহ্নিত করে সেগুলোকে সমাধান করতে সময় লাগে। আমরা দেখতেছি দায়িত্বে অবহেলা গুলো কি এবং সেটা সমাধান হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাতিস্ঠানিক বিনয়োগকারিদের উচিত মার্কেটকে আরো বেশি সার্পোট করা। কারন দিন শেষে তাদের মুভমেট প্রভাব ফেলবে। সে ক্ষেত্রে তাদের আরও বিচার বিশ্লেষন মূখি ক্রয় এবং বিক্রয় দুইটাই করলে মনে হয় ভাল হবে। সেই তারাও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখছি যে বেশ তাড়াহুড়া করছে। এটা না করলেও মনে হয় তাদের তেমন কিছু সমস্যা হবে না। তারা তো প্রতিষ্ঠানিক এমন অস্থির হবার তো তাদের কোন কারন নেই।
ফরেন সেলস কমার বিষয়ে বলেন, ফরেন সেলস বাড়বে। ফরেন সেলস বাড়ছেও তো বাহিরে থেকেও আসছে। এগুলো তো একদম ফ্রেন্ডলি উত্তর।
১১ তারিখ থেকে মার্কেট পরে যাবার বিষয়ে বলেন, দিনের পর দিন যে মার্কেট বাড়ে তখন তো কোন কথা বলেন না। কথা হচ্ছে প্রতিনয়ত যখন একটু কমে তখন ভয় বাড়ে। প্রতিনিয়ত আবার যখন বাড়ে তখন ভয় কমে যায়। আমি মনে করি যে এটা স্বাভাবিক। এমনটা হতেই পারে।
বিজনেস আওয়ার/২৫ অক্টোবর, ২০২১/আর