ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উচ্চমূল্যে শেয়ার ইস্যু করা পেনিনসুলার ইপিএস ৬ বছর ধরে ১ টাকার নিচে

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
  • 48

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন ২১) ব্যবসায় লোকসান হয়েছে। এরপরেও কোম্পানিটির আগের বছরের থেকে মুনাফা বেশি হয়েছে। তারপরেও উচ্চমূল্যে শেয়ারবাজারে শেয়ার ইস্যু করা কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) বিগত বছরগুলোর ন্যায় ১ টাকার নিচেই রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া পেনিনসুলা শেয়ারবাজারে প্রতিটি শেয়ার ৩০ টাকা করে ইস্যুর মাধ্যমে ১৬৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। সেই কোম্পানিটির ইপিএস আগের ৫ অর্থবছরের ন্যায় ২০২০-২১ অর্থবছরেও ১ টাকার নিচে হয়েছে।

কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই ২০-মার্চ ২১) ইপিএস হয়েছিল ০.৪৬ টাকা। তবে বছর শেষে এই মুনাফার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৪১ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেষ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ০.০৫ টাকা।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ি, কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছিল ০.২৭ টাকা। যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ০.১৫ টাকা ও তৃতীয় প্রান্তিকে ০.০৪ টাকা হয়েছিল। এতে করে ৩টি প্রান্তিকের একত্রে বা ৯ মাসে ইপিএস হয় ০.৪৬ টাকা।

আরও পড়ুন…..
৭৫ টাকা ইস্যু মূল্যের ইউনিক হোটেলের ১ টাকা লভ্যাংশ দিতেই রিজার্ভ ব্যবহার

এদিকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ গতকাল (২৫ অক্টোবর) পুরো ২০২০-২১ অর্থবছরের যে আর্থিক হিসাব প্রকাশ করেছে, সেখানে ইপিএস দেখিয়েছে ০.৪১ টাকা। এ হিসাবে শেষ প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে।

কোম্পানিটির ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি ০.৪৬ টাকা হিসেবে নিট মুনাফা হয়েছিল ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যা ১২ মাসে বা পুরো বছরে শেয়ারপ্রতি ০.৪১ টাকা হিসেবে নেমে এসেছে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকায়। অর্থাৎ শেষ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ৬৪ লাখ টাকা।

শেষ প্রান্তিকে লোকসান সত্ত্বেও কোম্পানিটির আগের বছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে মুনাফা বেড়েছে। আগের অর্থবছরের ০.০৫ টাকার ইপিএস এ বছর বেড়ে হয়েছে ০.৪১ টাকা। এর মাধ্যমে ৩০ টাকা ইস্যু মূল্যের কোম্পানিটির ইপিএস বিগত ৫ বছরের ন্যায় এবারও ১ টাকার নিচে থাকল।

কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকার নিট মুনাফা হলেও ১০ শতাংশ হারে বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদেরকে ১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে। মুনাফার অতিরিক্ত ১১ কোটি টাকা রিজার্ভ থেকে দেওয়া হবে।

পেনিনসুলা চিটাগাংকে শেয়ারবাজারে আনার ক্ষেত্রে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।

উল্লেখ্য ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের বর্তমানে ১১৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। সোমবার (২৫ অক্টোবর) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ২৭.২০ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/২৬ অক্টোবর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

উচ্চমূল্যে শেয়ার ইস্যু করা পেনিনসুলার ইপিএস ৬ বছর ধরে ১ টাকার নিচে

পোস্ট হয়েছে : ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন ২১) ব্যবসায় লোকসান হয়েছে। এরপরেও কোম্পানিটির আগের বছরের থেকে মুনাফা বেশি হয়েছে। তারপরেও উচ্চমূল্যে শেয়ারবাজারে শেয়ার ইস্যু করা কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) বিগত বছরগুলোর ন্যায় ১ টাকার নিচেই রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া পেনিনসুলা শেয়ারবাজারে প্রতিটি শেয়ার ৩০ টাকা করে ইস্যুর মাধ্যমে ১৬৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। সেই কোম্পানিটির ইপিএস আগের ৫ অর্থবছরের ন্যায় ২০২০-২১ অর্থবছরেও ১ টাকার নিচে হয়েছে।

কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই ২০-মার্চ ২১) ইপিএস হয়েছিল ০.৪৬ টাকা। তবে বছর শেষে এই মুনাফার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৪১ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেষ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ০.০৫ টাকা।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ি, কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছিল ০.২৭ টাকা। যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ০.১৫ টাকা ও তৃতীয় প্রান্তিকে ০.০৪ টাকা হয়েছিল। এতে করে ৩টি প্রান্তিকের একত্রে বা ৯ মাসে ইপিএস হয় ০.৪৬ টাকা।

আরও পড়ুন…..
৭৫ টাকা ইস্যু মূল্যের ইউনিক হোটেলের ১ টাকা লভ্যাংশ দিতেই রিজার্ভ ব্যবহার

এদিকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ গতকাল (২৫ অক্টোবর) পুরো ২০২০-২১ অর্থবছরের যে আর্থিক হিসাব প্রকাশ করেছে, সেখানে ইপিএস দেখিয়েছে ০.৪১ টাকা। এ হিসাবে শেষ প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে।

কোম্পানিটির ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি ০.৪৬ টাকা হিসেবে নিট মুনাফা হয়েছিল ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যা ১২ মাসে বা পুরো বছরে শেয়ারপ্রতি ০.৪১ টাকা হিসেবে নেমে এসেছে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকায়। অর্থাৎ শেষ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ৬৪ লাখ টাকা।

শেষ প্রান্তিকে লোকসান সত্ত্বেও কোম্পানিটির আগের বছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে মুনাফা বেড়েছে। আগের অর্থবছরের ০.০৫ টাকার ইপিএস এ বছর বেড়ে হয়েছে ০.৪১ টাকা। এর মাধ্যমে ৩০ টাকা ইস্যু মূল্যের কোম্পানিটির ইপিএস বিগত ৫ বছরের ন্যায় এবারও ১ টাকার নিচে থাকল।

কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকার নিট মুনাফা হলেও ১০ শতাংশ হারে বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদেরকে ১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে। মুনাফার অতিরিক্ত ১১ কোটি টাকা রিজার্ভ থেকে দেওয়া হবে।

পেনিনসুলা চিটাগাংকে শেয়ারবাজারে আনার ক্ষেত্রে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।

উল্লেখ্য ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের বর্তমানে ১১৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। সোমবার (২৫ অক্টোবর) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ২৭.২০ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/২৬ অক্টোবর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: