বিনোদন ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী দুই সন্তান ফেরার পরই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোর। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হিমঘরে নেয়া হয়েছে তার মরদেহ। সোমবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বোনের বাড়ি থেকে রামেকে নেয়া হয় গুণী এই শিল্পীর নিথর দেহ।
মরণব্যাধি ক্যানসারের কাছে পরাজিত হয়ে সোমবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় মারা যান এন্ড্রু কিশোর। অস্ট্রেলিয়া থেকে দুই সন্তান ফিরলে এন্ড্রু কিশোরকে তার মায়ের সমাধিস্থলে সমাহিত করা হবে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুরের মধ্যেই তার সন্তানরা ফিরতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এন্ড্রু কিশোরের বন্ধু রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. দ্বীপকেন্দ্র নাথ দাস জানান, মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া থেকে তাদের ফেরার কথা। তারা ফিরলে তাদের বাবার মরদেহ সমাহিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত মরদেহ হিমঘরেই থাকবে।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, এন্ড্রু কিশোরের মেয়ে সজ্ঞা (২৬) ও ছেলে সপ্তক (২৪) অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। সজ্ঞার পড়াশোনা প্রায় শেষের দিকে। তার স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু একজন চিকিৎসক। তিনি রাজশাহীতেই বসবাস করেন।
১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন এন্ড্রু কিশোর। তার বাবার নাম খিতিশ চন্দ্র বাড়ই। মা মিনু বাড়ই। রাজশাহীতেই কেটেছে এন্ড্রু কিশোরের শৈশব ও কৈশোর। গানের টানে মুক্তিযুদ্ধের পরপর তিনি রাজধানী ঢাকায় নিয়মিতভাবে বসবাস শুরু করেন।
১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমায় ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয়। সেই শুরুর পর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
এরপর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন প্লে-ব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য দেশ-বিদেশের আরও অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন উপমহাদেশের খ্যাতনামা এই শিল্পী। গতবছর তার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করেও তিনি সুস্থতা পাননি। হাজারও ভক্ত অনুরাগীদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন দেশবরেণ্য এই কণ্ঠশিল্পী ।
বিজনেস আওয়ার/০৭ জুলাই, ২০২০/এ