স্পোর্টস ডেস্ক: ৯০ রানে চার উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ। ৪০ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে। ১৯তম ওভারের শেষ বলে লং অনে বড় শট খেলেন লিটন। লাফিয়ে ক্যাচ তুলে নেন ছয় ফুট ছয় ইঞ্চি উচ্চতার জেসন হোল্ডার। এতেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয় টাইগারদের। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। সেট মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে যোগ দেন আফিফ হোসেন। প্রথম পাঁচ বলে নয় রান খরচ করেন বোলার আন্দ্রে রাসেল। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল চার রান। স্ট্রাইকে থেকেও তুলতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ডট বল করেন রাসেল। ম্যাচটি তিন রানে নিজেদের করে নেয় উইন্ডিজরা।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নামার আগে দুই দলই দুটি করে ম্যাচ হেরেছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই পক্ষের জন্যই ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। অর্থাৎ, যে দল হারবে তাদের জন্যই হবে কার্যত শেষ ম্যাচ। এমন সমীকরণের সামনে উতরে উঠতে পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল।
সুপার টুয়েলভের এই ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৩৯ রান করে বাংলাদেশে।
লাল-সবুজদের হয়ে ১৯ বলে ১৭ রান তুলেন নাঈম শেখ। দুটি চার আসে তার ব্যাট থেকে। তার সঙ্গে ওপেন করতে একটি চার হাঁকিয়ে ১২ বলে ৯ রান তুলেন সাকিব আল হাসান। তিন নম্বরে ব্যাট করে ৪৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। চারটি চার আসে তার ব্যাট থেকে।
সৌম্য সরকার ১৩ বল খেলে ১৭ রান করে ফিরেন। ৭ বলে ৮ রান তুলেন মুশফিকুর রহিম। সৌম্য দুটি ও মুশফিক একটি চার মারেন।
২৪ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন ২ বলে ২ রান করা আফিফ হোসেন।
ডোয়াইন ব্রাভো, জেসন হোল্ডার, আন্দ্রে রাসেল, রবি রামপল, আকিল হোসেন প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট তুলে নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেটে ১৪২ রান তুলেছিল কাইরন পোলার্ডরা।
২২ বলে ৪০ রান তুলেন নিকোলাস পুরান। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে চারটি ছক্কা ও একটি চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। তাই ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ৪৬ বলে ৩৯ রান তুলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা রোস্টন চেজ।
মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট তুলেছেন।