ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার র‌্যাপিড টেস্ট শুরু হচ্ছে শিগগিরই

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
  • 105

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের র‌্যাপিড টেস্ট শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে। অ্যান্টিবডি-অ্যান্টিজেনের অনুমোদনের একটি প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই এর জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এর কার্যক্রম শুরু হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানান।

সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন সম্পর্কিত নীতিমালার খসড়া তৈরি করে গত ৫ জুলাই মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেলেই ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সে অনুযায়ী অ্যান্টিবডি-অ্যান্টিজেন কিট কেনার জন্য স্পেসিফিকেশন দেবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, কোভিডের নতুন এই প্রেক্ষাপটে কী কী করা উচিত, কী কী টেস্ট অ্যাভেইলেবল তার একটা প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় যদি অনুমোদন করে, তাহলে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করবো। আশা করছি, তারা অনুমোদন দিয়ে দেবে।

এর আগে গত ৩ জুন কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি করোনা শনাক্তে র‌্যাপিড টেস্টের জন্য সুপারিশ করে। এছাড়া করোনা শনাক্তে এতদিন ধরে চলা আরটি পিসিআর পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করার পক্ষেও মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি কমিউনিটিতে কত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন,আক্রান্তদের মধ্যে কতজনের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং যে কারণে তাদের পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য— সেটা নির্ণয় করা যাবে। রোগীর উপকার এবং এপিডেমিওক্যাল গবেষণা— এই দুই ক্ষেত্রেই র‌্যাপিড টেস্টের প্রয়োজন রয়েছে।

একইসঙ্গে লকডাউন লিফটিং, পোশাক কারখানাসহ নানা অফিস আদালত খুলে দেওয়ার জন্য, স্বাস্থ্যকর্মীদের কী অবস্থা সেটা বোঝার জন্য, এমনকি ভ্যাকসিন টেস্ট করার জন্যও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কীনা— এসবের জন্যই র‌্যাপিড টেস্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ন্যাজাল সোয়াবের মাধ্যমে করা অ্যান্টিজেন টেস্টে আর্লি পজিটিভ বা আর্লি ডিকেটকশন করা যায়। তাই পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি অ্যান্টিজেন পরীক্ষা থাকলে রোগী শনাক্ত করা সহজ হয়।

তিনি জানান, পিসিআর পরীক্ষায় যেসব ‘ডিফিকাল্টিজ’ রয়েছে, অ্যান্টিজেনে সেসব নেই। এই পরীক্ষা যেমন সহজে করা যায়, তেমনই মেশিনের দরকার হয়। আলাদা ল্যাবরেটরি বা যে কোথাও করা যায়, এর জন্য বায়োসেফটির দরকার নেই। দেশের ৪৯১টি উপজেলায় এ পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।

ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গুরুতর রোগী এলে, তার কোভিড টেস্ট না থাকায় চিকিৎসা না দেওয়া, এমনকি এ অবস্থায় ওই রোগীর মৃত্যুর খবর পর্যন্ত আমরা পেয়েছি। অথচ, মাত্র ১৫ মিনিটে র‌্যাপিড টেস্ট করা গেলে, পজিটিভ-নেগেটিভ যাই হোক না কেন, রোগীকে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে সেখানেই তার পরীক্ষা করে তাকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু সেটা যদি আরটি পিসিআরের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আর সহজে যদি রোগী শনাক্ত করা যায়, তাহলে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো যায়, তার কন্টাক্ট প্রেসিং দ্রুত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এতগুলো সুবিধা রয়েছে র‌্যাপিড টেস্টে। একইসঙ্গে পিসিআরের তুলনায় দামও খুব কম।

ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, সবমিলিয়ে এটা (র‌্যাপিড টেস্ট) খুব দ্রুত চালু করা দরকার। এটা যদি আগে করা যেতো তাহলে অনেক নেগেটিভ কেস— যেগুলো আসলে করোনা আক্রান্ত ছিল, সেগুলো পজিটিভ পেতে পারতাম। আর এটা না পাওয়ার ফলে পজিটিভ হলেও নেগেটিভ রিপোর্ট পাবার কারণে, তারা ছড়িয়ে পড়েছে।

আর অ্যান্টিবডি টেস্ট বেশি প্রয়োজন, কোনও এলাকায় যদি সার্ভে করতে চাই যে কোনও জনগোষ্ঠীর ভেতরে কত মানুষ আক্রান্ত, তাহলে অ্যান্টিবডি টেস্ট করতে হবে। আবার বস্তি এলাকাতে জানা যায়নি, কত মানুষ আক্রান্ত।

কাজেই এসব এলাকায় যদি অ্যান্টিবডি টেস্ট করে দেখা যায় যে, ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, তাহলে বলা যাবে ওই এলাকাতে সংক্রমণের ঝুঁকি কম। আবার টেস্টে যদি বেশিরভাগ মানুষ না আক্রান্ত হয়, তাহলে বলতে হবে সেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, তাই প্রটেক্ট করতে হবে।’

অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডি দুটো পরীক্ষাই আরডিটি ( র‌্যাপিড ডায়াগনোস্টিক টেস্ট) এবং অ্যালাইজা পদ্ধতিতে করা যায়। তবে অ্যালাইজা পদ্ধতিতে পরীক্ষা হলে তাতে করে নিদিষ্ট প্রটেকটিভ লেভেল বা ‘অ্যান্টিবডি টাইটার’ বোঝা যায়। আর আরডিটি দিয়ে কেবল পজিটিভ – নেগেটিভ বলা যাবে, সুনির্দিষ্টভাবে কতটুকু অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, সেটা বলা যাবে না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা শুরু থেকেই একথা বলে এসেছি, এতদিন পরে এসেও সেটা করা হচ্ছে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষা খুব দরকার ছিল আরও আগে থেকে। এখন হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভোগান্তি কমবে, চিকিৎসকসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হবার হার কমে যাবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, বাংলাদেশের সব জায়গায় এখন করোনা শনাক্ত করা খুব প্রয়োজন। তাই অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডি কম্বাইন্ড করে যদি উপজেলা পর্যন্ত পরীক্ষা সুবিধাকে সম্প্রসারণ করা যায়, তাহলে ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে এর আওতায় নিয়ে আসা যাবে। কোভিড রোগীকে দ্রুত শনাক্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজনেস আওয়ার/০৭ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

করোনার র‌্যাপিড টেস্ট শুরু হচ্ছে শিগগিরই

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের র‌্যাপিড টেস্ট শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে। অ্যান্টিবডি-অ্যান্টিজেনের অনুমোদনের একটি প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই এর জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এর কার্যক্রম শুরু হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানান।

সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন সম্পর্কিত নীতিমালার খসড়া তৈরি করে গত ৫ জুলাই মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেলেই ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সে অনুযায়ী অ্যান্টিবডি-অ্যান্টিজেন কিট কেনার জন্য স্পেসিফিকেশন দেবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, কোভিডের নতুন এই প্রেক্ষাপটে কী কী করা উচিত, কী কী টেস্ট অ্যাভেইলেবল তার একটা প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় যদি অনুমোদন করে, তাহলে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করবো। আশা করছি, তারা অনুমোদন দিয়ে দেবে।

এর আগে গত ৩ জুন কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি করোনা শনাক্তে র‌্যাপিড টেস্টের জন্য সুপারিশ করে। এছাড়া করোনা শনাক্তে এতদিন ধরে চলা আরটি পিসিআর পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করার পক্ষেও মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি কমিউনিটিতে কত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন,আক্রান্তদের মধ্যে কতজনের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং যে কারণে তাদের পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য— সেটা নির্ণয় করা যাবে। রোগীর উপকার এবং এপিডেমিওক্যাল গবেষণা— এই দুই ক্ষেত্রেই র‌্যাপিড টেস্টের প্রয়োজন রয়েছে।

একইসঙ্গে লকডাউন লিফটিং, পোশাক কারখানাসহ নানা অফিস আদালত খুলে দেওয়ার জন্য, স্বাস্থ্যকর্মীদের কী অবস্থা সেটা বোঝার জন্য, এমনকি ভ্যাকসিন টেস্ট করার জন্যও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কীনা— এসবের জন্যই র‌্যাপিড টেস্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ন্যাজাল সোয়াবের মাধ্যমে করা অ্যান্টিজেন টেস্টে আর্লি পজিটিভ বা আর্লি ডিকেটকশন করা যায়। তাই পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি অ্যান্টিজেন পরীক্ষা থাকলে রোগী শনাক্ত করা সহজ হয়।

তিনি জানান, পিসিআর পরীক্ষায় যেসব ‘ডিফিকাল্টিজ’ রয়েছে, অ্যান্টিজেনে সেসব নেই। এই পরীক্ষা যেমন সহজে করা যায়, তেমনই মেশিনের দরকার হয়। আলাদা ল্যাবরেটরি বা যে কোথাও করা যায়, এর জন্য বায়োসেফটির দরকার নেই। দেশের ৪৯১টি উপজেলায় এ পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।

ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গুরুতর রোগী এলে, তার কোভিড টেস্ট না থাকায় চিকিৎসা না দেওয়া, এমনকি এ অবস্থায় ওই রোগীর মৃত্যুর খবর পর্যন্ত আমরা পেয়েছি। অথচ, মাত্র ১৫ মিনিটে র‌্যাপিড টেস্ট করা গেলে, পজিটিভ-নেগেটিভ যাই হোক না কেন, রোগীকে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে সেখানেই তার পরীক্ষা করে তাকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু সেটা যদি আরটি পিসিআরের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আর সহজে যদি রোগী শনাক্ত করা যায়, তাহলে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো যায়, তার কন্টাক্ট প্রেসিং দ্রুত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এতগুলো সুবিধা রয়েছে র‌্যাপিড টেস্টে। একইসঙ্গে পিসিআরের তুলনায় দামও খুব কম।

ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, সবমিলিয়ে এটা (র‌্যাপিড টেস্ট) খুব দ্রুত চালু করা দরকার। এটা যদি আগে করা যেতো তাহলে অনেক নেগেটিভ কেস— যেগুলো আসলে করোনা আক্রান্ত ছিল, সেগুলো পজিটিভ পেতে পারতাম। আর এটা না পাওয়ার ফলে পজিটিভ হলেও নেগেটিভ রিপোর্ট পাবার কারণে, তারা ছড়িয়ে পড়েছে।

আর অ্যান্টিবডি টেস্ট বেশি প্রয়োজন, কোনও এলাকায় যদি সার্ভে করতে চাই যে কোনও জনগোষ্ঠীর ভেতরে কত মানুষ আক্রান্ত, তাহলে অ্যান্টিবডি টেস্ট করতে হবে। আবার বস্তি এলাকাতে জানা যায়নি, কত মানুষ আক্রান্ত।

কাজেই এসব এলাকায় যদি অ্যান্টিবডি টেস্ট করে দেখা যায় যে, ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, তাহলে বলা যাবে ওই এলাকাতে সংক্রমণের ঝুঁকি কম। আবার টেস্টে যদি বেশিরভাগ মানুষ না আক্রান্ত হয়, তাহলে বলতে হবে সেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, তাই প্রটেক্ট করতে হবে।’

অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডি দুটো পরীক্ষাই আরডিটি ( র‌্যাপিড ডায়াগনোস্টিক টেস্ট) এবং অ্যালাইজা পদ্ধতিতে করা যায়। তবে অ্যালাইজা পদ্ধতিতে পরীক্ষা হলে তাতে করে নিদিষ্ট প্রটেকটিভ লেভেল বা ‘অ্যান্টিবডি টাইটার’ বোঝা যায়। আর আরডিটি দিয়ে কেবল পজিটিভ – নেগেটিভ বলা যাবে, সুনির্দিষ্টভাবে কতটুকু অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, সেটা বলা যাবে না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা শুরু থেকেই একথা বলে এসেছি, এতদিন পরে এসেও সেটা করা হচ্ছে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষা খুব দরকার ছিল আরও আগে থেকে। এখন হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভোগান্তি কমবে, চিকিৎসকসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হবার হার কমে যাবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, বাংলাদেশের সব জায়গায় এখন করোনা শনাক্ত করা খুব প্রয়োজন। তাই অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডি কম্বাইন্ড করে যদি উপজেলা পর্যন্ত পরীক্ষা সুবিধাকে সম্প্রসারণ করা যায়, তাহলে ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে এর আওতায় নিয়ে আসা যাবে। কোভিড রোগীকে দ্রুত শনাক্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজনেস আওয়ার/০৭ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: