দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক সচিব মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানিয়েছেন, গত আড়াই বছরে দুর্নীতিবাজদের সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই সময়ে ২১শ’ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক এবং অবরুদ্ধ করেছে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে দেশে ১৪ দশমিক ৪৪ একর জমি, ১৭টি বাড়ি, ১৭টি ফ্ল্যাট, ৯টি প্লট, ৪টি কমার্শিয়াল স্পেস, ৯টি গাড়ি ও ৪টি স্থাপনা আদালতের আদেশে ক্রোক করা হয়। দুবাইয়ে দুটি কোম্পানির শেয়ারও ক্রোক করা হয়। একই বছর দেশে ২৮৮টি ব্যাংক হিসাব, ৬টি বিও হিসাব ও ৩৬টি সঞ্চয়পত্র/বন্ড, জামানত; পলিসি/ইন্স্যুরেন্স ফ্রিজ করা হয়েছে।
এ ছাড়া মালয়েশিয়ার ৫টি ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে ১১৫ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ২১১ টাকার স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে। আর একই বছর ১১৮ কোটি ৫৯ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭৬ টাকার অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে।
২০২০ সালে দেশে ২৫৬ দশমিক ৩৪৫ একর জমি, ৩৪টি বাড়ি/ভবন, ৩৫টি ফ্ল্যাট, ৭টি কমার্শিয়াল স্পেস, ১৭টি গাড়ি ক্রোক করা হয়েছে। এসব স্থাবর সম্পদের মূল্য ১৮০ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৭৪৬ টাকা।
একই বছর এক হাজার ১১৮টি ব্যাংক হিসাব ও এফডিআর ফ্রিজ করা হয়। এসব অস্থাবর সম্পদের মূল্য বা ওইসব অ্যাকাউন্টে ১৫২ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ টাকা।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ১২৭ দশমিক ৪৮৪ একর জমি, ৩০টি বাড়ি/ভবন, ১৪টি ফ্ল্যাট, ১টি প্লট ২৭টি গাড়ি ক্রোক করা হয়েছে। এসব স্থাবর সম্পদের মূল্য ৩২৪ কোটি ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯২ টাকা।
একই সময়ে দেশে ৯১৬টি ব্যাংক হিসাব, ৫৬টি সঞ্চয়পত্র ও বন্ড/শেয়ার, ৩টি পিস্তল, ৭টি জাহাজ ফ্রিজ করা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের বাইরে কানাডায় ১১টি, অস্ট্রেলিয়ায় ২৩টি, সিঙ্গাপুরে ৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে। এসব অস্থাবর সম্পদের মূল্য ১ হাজার ১৬৭ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার ৬০৮ টাকা।
বিজনেস আওয়ার/৩ নভেম্বর, ২০২১/এএইচ