বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সারা দেশে পরিবহণ শ্রমিক এবং মালিকদের ধর্মঘট যথার্থ ও যৌক্তিক।
শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াসহ পরিষদের ৫-৬ শতাধিক নেতাকর্মী।
নুর বলেন, আজকে বাংলাদেশে পরিবহণ শ্রমিকদের মালিকপক্ষের একটি কর্মসূচি চলছে। আমরা মনে করি, এটি শ্রমিকদের যথার্থ কর্মসূচি। কারণ কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই হঠাৎ ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ার ফলে প্রোডাকশন থেকে শুরু করে পণ্য সরবরাহসহ জনজীবনে এর প্রভাব পড়েছে। সেই সঙ্গে গণমানুষের জীবনযাত্রার মানে একটা পরিবর্তন আসবে।
‘এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম ঊর্ধ্বগতি। এ জন্য জনজীবনে এক ধরনের অস্বস্তিবোধ করে আসছে। এর পর ডিজেল ও কেরোসিনের অতিরিক্ত দামের প্রভাবে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে।’
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুত নির্ধারিত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রত্যাহার করতে হবে। আর এসব পণ্যের দাম সার্বিক বিবেচনা করে লিটারে ২-৩ টাকা বাড়াতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে করতে হবে।
বর্তমান সরকার একটা দুর্বৃত্তের সরকারে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে নুর বলেন, তারা রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সব প্রতিষ্ঠানকে তারা দলীয়করণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। কাজেই এ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, এই সরকারের আমলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে— এটি পাগলও বিশ্বাস করবে না। কাজেই নিরপক্ষে নির্বাচন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হতে পারে, জাতীয় সরকারের অধীনে হতে পারে অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। কিন্তু এই সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব নয়।
বিজনেস আওয়ার/০৫ নভেম্বর, ২০২১/কমা