বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: দফায় দফায় বাড়ার পর গেল সপ্তাহে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। গেল এক সপ্তাহে অপরিশোধিত তেল এবং ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে প্রায় এক শতাংশ। হান্টিং অয়েলের দাম কমেছে দুই শতাংশের ওপরে। আর প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমেছে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ।
বিশ্বজুড়ে চলতি বছরের শুরুতেই তেলের দামের এই বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। কয়েক দফা দাম বেড়ে করোনার মধ্যে প্রথমবার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৬০ ডলারে উঠে আসে। এর মাধ্যমে মহামারি শুরু হওয়ার আগের দামে ফিরে যায় অপরিশোধিত তেল।
আর ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর গত জুনে করোনার প্রকোপের মধ্যে প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৭৫ ডলারে উঠে আসে। আর অক্টোবরে এসে তেলের দাম বৃদ্ধির পালে নতুন করে যেন হাওয়া লাগে। এতে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৮৪ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর মাধ্যমে সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে উঠে আসে তেলের দাম।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার প্রেক্ষিতে গত ৩ নভেম্বর দেশের বাজারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে গ্রাহক পর্যায়ে ভ্যাটসহ কেজিতে সাড়ে ৪ টাকা হারে বাড়িয়ে ৪ নভেম্বর এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৫৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩১৩ টাকা।
এ পরিস্থিতিতে গেল এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার প্রবণতা দেখা গেলো। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম দশমিক ৯০ ডলার কমে ৮০ দশমিক ৬৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে দশমিক ৭৩ শতাংশ। তবে মাসের ব্যবধানে অপরিশোধিত তেলের দাম এখনো দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি। আর বছরের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এখন ৬৬ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি।
বিজনেস আওয়ার/ ১৩ নভেম্বর, ২০২১/এএইচ