ঢাকা , রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেই বিচারককে বদলি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১
  • 30

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নিতে বলা বিচারক বেগম কামরুন্নাহারকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন-১) শেখ গোলাম মাহবুবের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭, ঢাকার বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহারপূর্বক আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

এর আগে সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই বিচারককে বিচারিক কাজ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি আইন মন্ত্রণালয়কে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলে।

রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই নারীকে ধর্ষণের বহুল আলোচিত মামলায় গত বৃহস্পতিবার পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দিয়ে রায় দেন ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন্নাহার।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে ঘটনার ৩৮ দিন পর ধর্ষণের মামলা করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারক কামরুন্নাহার। তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টা পর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না। ওই সময়ের পর পুলিশকে কোনো ধর্ষণ মামলা না নিতেও পরামর্শ রাখেন তিনি।

ধর্ষণ মামলা নিয়ে বিচারকের এমন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিচারকের বিবেচনা বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে প্রতিক্রিয়া জানান।

৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা না নেয়ার জন্য কামরুন্নাহারের পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার সকালেই কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার খবর দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

বিজনেস আওয়ার/১৪ নভেম্বর, ২০২১/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সেই বিচারককে বদলি

পোস্ট হয়েছে : ০৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নিতে বলা বিচারক বেগম কামরুন্নাহারকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন-১) শেখ গোলাম মাহবুবের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭, ঢাকার বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহারপূর্বক আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

এর আগে সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই বিচারককে বিচারিক কাজ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি আইন মন্ত্রণালয়কে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলে।

রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই নারীকে ধর্ষণের বহুল আলোচিত মামলায় গত বৃহস্পতিবার পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দিয়ে রায় দেন ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন্নাহার।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে ঘটনার ৩৮ দিন পর ধর্ষণের মামলা করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারক কামরুন্নাহার। তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টা পর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না। ওই সময়ের পর পুলিশকে কোনো ধর্ষণ মামলা না নিতেও পরামর্শ রাখেন তিনি।

ধর্ষণ মামলা নিয়ে বিচারকের এমন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিচারকের বিবেচনা বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে প্রতিক্রিয়া জানান।

৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা না নেয়ার জন্য কামরুন্নাহারের পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার সকালেই কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার খবর দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

বিজনেস আওয়ার/১৪ নভেম্বর, ২০২১/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: